দিন কয়েক আগেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকে চমক উপহার দিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো অঘটনের জন্ম দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে তাঁরা। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ডাচদের কাছে হেরেছিল প্রোটিয়ারা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আদ্র আবহাওয়ার সুবিধা নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেদারল্যান্ডসকে। শুরুটাও দারুণ করেছিল প্রোটিয়া পেসাররা, টপ অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেয়নি তাঁরা। আট ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ৪১ রানের মাথায় আউট হন বাস ডি লিডও। প্রতিরোধের গড়ার চেষ্টা করেও সফলন হননি আরেক ব্যাটার কলিন আকারম্যান।
৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে যায় ডাচরা। সেই চাপ আরো ঘনীভূত হয় মিডল অর্ডারের ভূলে; একে একে সাইব্রেন্ড, নিদামানুরুরা সাজ ঘরের রাস্তা ধরলে ১৪০/৭ এর দলে পরিণত হয় ইউরোপীয়ান দলটি।
তবে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। আর তাঁর ব্যাটে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রচনা করে তাঁরা। নয় নম্বরে নামা ভ্যান ডার মারইউর সঙ্গে তাঁর গড়া ৬৪ রানের জুটিতে ২০০ রানের গন্ডি পেরোয়।
ব্যাটিংয়ের সময়েই দারুণ ভাবে লড়াই করেছিল নেদারল্যান্ডস। ২৯ রান করে মারইউ আউট হলেও এডওয়ার্ডস অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। শেষপর্যন্ত এই উইকেটকিপারের অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্স এবং আরিয়ান দত্তের নয় বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ২৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় কমলা জার্সি ধারীরা।
ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন দলটির বোলারদেরও জ্বলে উঠার শক্তি দিয়েছিল। আর সেই শক্তিতে পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুই ওপেনারকেই আউট করেন তাঁরা। ৪১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ভড়কে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা কিছু বুঝে উঠার আগেই আবারো জোড়া আঘাত নেমে আসে। পর পর দুই ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এইডেন মার্করাম এবং ভ্যান ডার ডুসেন।
পঞ্চাশ রানের আগে চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত প্রোটিয়াদের হাল ধরেন ডেভিড মিলার এবং হেনরিখ ক্ল্যাসেন। কিন্তু তাঁদের প্রতিরোধ স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ, ২৮ রান করা ক্ল্যাসেনকে তুলে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন ভ্যান বিক। শঙ্কার কালো মেঘ তখন জমা হয়েছিল ডি ককদের আকাশে।
সেই মেঘ আর দূর হয়নি, আরো ঘনীভূত হয়েছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। শেষমেশ সেই মেঘ ঝরেছে লজ্জার বৃষ্টি হয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার দল।