বিশ্রাম নাকি বাদ, এমন একটা ইস্যুতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজেও বোধহয় ছিলেন দ্বিধান্বিত। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপেও যখন সুযোগ মিললো না, তখন সবাই ধরেই নিয়েছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যবনিকাপাত ঘটে গিয়েছে রিয়াদের। কিন্তু রিয়াদ হাল ছাড়েননি। মিরপুরে একা অনুশীলন করেছেন। নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। অথচ সেই বিশ্বকাপে তিনি আদৌ সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা।
সেই অনিশ্চয়তা কেটেছে গত মাসেই। রিয়াদ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলেন। তবে সুযোগ পেলেও, তিনি যে ফুরিয়ে যাননি তার জন্য প্রয়োজন মাঠের পারফর্ম্যান্স। নিউজিল্যান্ড আর ভারতের বিপক্ষেই সেটার কিছুটা আভাস দেখিয়েছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এসে দেখা মিললো সেই চেনা ছন্দের রিয়াদকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিয়ান আবারো ফিরে এলেন সেঞ্চুরিয়ান রূপে।
দলের পরাজয়ের দিনেও এমন একটা ইনিংস কিছুটা হলেও স্বস্তি জোগাবে রিয়াদকে। সবাই তাঁর শেষ দেখে ফেললেও তিনি ফুরিয়ে যাননি, তার জন্য এই ইনিংসটা অবশ্যই অনুপ্রেরণার। তবে মাঝে যে কঠিন সময়টা তিনি পেরিয়ে এসেছেন, সে ব্যাপারে আগ্রহ ছিল অনেকেরই। কঠিন সময়ে তাঁর সেই নিরবতা বরং সে আগ্রহকে আরো গাঢ় করে তুলেছিল।
অবশেষে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই নিরবতা ভাঙলেন তিনি। কিন্তু চেপে গেলেন অনেক কিছুই। বাদ পড়ার কঠিন সেই সময়টা নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন মাহমুদউল্লাহ। তবে সময়টা যে এখন সঠিক না, সেটিই জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার।
ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘যা সময় কেটেছে ভালো কেটেছে, কিছু বলতে চাচ্ছি না। যদিও অনেক কিছু নিয়ে বলতে চাই। কিন্তু এটা সঠিক সময় না। আমার লক্ষ্য ছিল শুধুই দলের জন্য খেলা, অবদান রাখা। আমার ক্যারিয়ার জুড়েই আমি অনেক আপস অ্যান্ড ডাউন দেখেছি। ইটস ফাইন।’
নিজের সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি রিয়াদ। নিজের ফিরে আসা নিয়ে বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে পেরেছি। হয়তো আল্লাহ শক্তি দিয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি, ফিটনেস ঠিক রেখেছি। আর আগেও বললাম, সব প্রশ্নের উত্তর এখন দেব না। সময় হলে দেব, শেষে দেব।’