শততম পরাজয়ের শতকোটি লজ্জা!

ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শততম পরাজয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ।

তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট, সবচেয়ে আশাবাদী সমর্থকটাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ক্রিকেট থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে অবিশ্বাসের জন্ম দেয় নাজমুল হোসেন শান্তরা। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে লজ্জার ষোলকলা পূর্ণ করে টাইগাররা। এমন ফলাফল কখনো কল্পনা করা তো দূরে থাক, ভয়াবহ কোন দুঃস্বপ্নেও দেখেনি কেউ – লজ্জা আর অপমানে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার উপলক্ষ বটে।

সেই লজ্জা আরো খানিকটা বাড়িয়ে দেয় পরিসংখ্যানের পাতা, এই যেমন ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শততম পরাজয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। একটা সময় এ মাইলফলক স্পর্শ করার দৌড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে থাকলেও তাঁদের অপ্রত্যাশিত ভাবে হারিয়ে দিয়েছে সাকিব, রিয়াদরা।

এখন পর্যন্ত বিশ ওভারের সংস্করণে ১৬৮ ম্যাচ খেলেছে দলটি, সেখানে ৬৪ ম্যাচে জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১০০টি ম্যাচে। যার মধ্যে শেষ দুইটি এসেছে মার্কিন প্রতিনিধিদের বিপক্ষে, এর চেয়ে বেদনার কোন কিছুই বোধহয় হতে পারতো না ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।

অথচ দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ তাঁদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেও, প্রথম দল হিসেবে শততম হারের লজ্জা সম্ভবত পেতে হতো উইন্ডিজকে। কেননা টি-টোয়েন্টিতে ইতোমধ্যে ৯৯ বার পরাজয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে এই দলের।

এছাড়া তিন অঙ্কের বিশেষ ক্লাবে প্রবেশের দৌড়ে আছে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে এবং নিউজিল্যান্ড। তিনটি দলেরই বর্তমান পরাজয় সংখ্যা নব্বই পেরিয়ে গিয়েছে। ১৮৯ বার মাঠে নামা লঙ্কানরা হেরেছে ৯৮টিতে, জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে সেটা ১৪৫ ম্যাচে ৯৫ পরাজয়। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ২১৬ ম্যাচ খেলে হেরে গিয়েছে ৯০ ম্যাচে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রত্যাশার ফুলঝুরি ছিটিয়ে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সব প্রত্যাশা নেমে গিয়েছে শূন্যেরও নিচে। এখন কেবল মুখ লুকানোর জায়গা খোঁজার পালা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...