২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেকের পরে আদিল রশিদই ৯০ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত রশিদের ঝুলিতে ঢুকেছে মোটে একটা উইকেট।
ছোট ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের নাম্বার ওয়ান স্পিনার বলা যায় তাঁকে। ম্যাচের যেকোন সময়ে অধিনাকরে ভরসার নাম আদিল রশিদ। নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর সাথে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয়া সব দিকেই পটু এই লেগস্পিনার। কিন্ত এবারের বিশ্বকাপে রশিদ যেন নিজের ছায়া হয়েই রয়েছেন। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদানও দিতে পারেন নি রশিদ। নিতে পেরেছেন মোটে এক উইকেট। ফলাফল হিসেবে ইংল্যান্ড ও খুব ভাল খেলতে পারেনি।
তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রশিদ যেন ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে স্ব মহিমায় ফিরলেন। শ্রীলঙ্কা যখন আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভার ১ উইকেটে ৮৪ রান সংগ্রহ করে বড় ভীতের দিকে এগোচ্ছে। তখনই জস বাটলার রশিদের শরণাপন্ন হন। রশিদও তার ভরসার প্রতিদান দিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট লাভ করলেও ম্যাচে তার বোলিং ইম্প্যাক্ট ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের সামনে এক রকম দূর্বোধ্যই ছিলেন এদিন রশিদ। তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যেই পরের দশ ওভারে মাত্র ৫৭ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক এমন পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেন, ‘বোলিং ফিগার দেখে ওর ((আদিল রশিদ) ভূমিকাটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে, এরকম উইকেটে ওর পক্ষে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আর সেটা ও করতে পেরেছে।’
তাঁর কথার সাথে সুর মেলান মঈন আলী। বলেন, ‘ও ((আদিল রশিদ) হয়তো অনেক উইকেট পায়নি। তবে, ও ভাগ্যের জোরে কিছু পায়নি। কিছু সুযোগ মিস হয়েছে। তারপরও এই কন্ডিশনে আদিল অসাধারণ ছিল। ওকে মোকাবেলা করা কঠিন।’
রশিদের এই বোলিং পারফরম্যান্স রশিদের পাশাপাশি অধিনায়ক জশ বাটলারকেও কিছুটা হলে দুশ্চিন্তামুক্ত করবে। কেননা জস বাটলার সহ পুরো ইংল্যান্ড দলই চাইবে রশিদ যেন স্ব মহিমায় ফিরে দলের ট্রাম্প কার্ড হয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলতে পারে। আগামী ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা।