এ যেন এক বিধ্বংসী রহমানুল্লাহ গুরবাজ! একের পর এক মারাকাটারি শটে নাস্তানাবুদ করেছেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। পুরো ম্যাচ জুড়ে তাঁর ব্যাটিংয়ে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুবিচার করলেন নিজের নামের প্রতি। খেললেন ঝড়ো এক ইনিংস।
অনেক স্বপ্ন নিয়েই আফগানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় নবাগত উগান্ডার। তবে উগান্ডার বোলাররা আফগানিস্তানের ওপেনিং ব্যাটারদের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। উইকেট শিকার তো দূরে থাক, আফগান ব্যাটারদের চার-ছক্কা সামাল দিতে ব্যস্ত থাকতে হয় উগান্ডার বোলার আর ফিল্ডাদের।
এ বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি গুরবাজ। তবে সদ্য সমাপ্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে জিতেছেন শিরোপা। কলকাতার সেই জয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভস আর ব্যাট হাতে রাখেন বিশেষ ভূমিকা।
উগান্ডার অভিষেক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উগান্ডার বোলারদের আতঙ্কের নাম হয়ে উঠলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। মাত্র ২৮ বলেই ছুঁয়ে ফেললেন নিজের অর্ধ-শত রানের কোঠা। নিজের অর্ধ-শত রান পূর্ণ করার পর যেন আরও জ্বলে ওঠেন আফগান এই ব্যাটার।
তিনি এই ম্যাচে মোট ৭৬ রান করেছেন । আর খরচ করেছেন মাত্র ৪৪ বল। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৮এর উপরে। তিনি ৪ টি চার এবং ৪ টি ছক্কায় সাজান সেই ইনিংস। ইব্রাহিম জাদরানকে সাথে নিয়ে দশম ওভারেই পান শতরানের দেখা। তাঁরা ১৫০ এ পৌঁছে যান ১৫ তম ওভারেই। ২২ গজে বেশ ভালভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছিলেন আফগানিস্তানের এই দুই ওপেনিং ব্যাটার। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা করেন মোট ১৫৪ রান!
তবে ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আলপেশ রামজানির ফাঁদে আটকা পড়েন গুরাবাজ। রিয়াজাত আলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আর সেই সাথে সমাপ্তি ঘটে তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের।
উগান্ডার বিপক্ষে গুরবাজের এই পারফর্ম্যান্স নিঃসন্দেহে তাঁকে বাড়তি শক্তি যোগাবে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও রানের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবেন তিনি। আর বিশ্ব মঞ্চে আফগানিস্তানকে নিয়ে যাবেন সম্মানের চূড়ায়।