সুপার এইটের মঞ্চে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ করে রাখলো আফগান বাহিনী। এখন শুধু কিছু হিসাব নিকাশের পালা। হিসাবটা সেমিফাইনালে যাওয়ার।
সুপার এইটের পর্বে একই গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ দুই পরাজয়ের স্বাদ পেয়ে বেশ পিছিয়ে গিয়েছে। ঠিক উলটো চিত্র ভারতের শিবিরে, পর পর দুই জয়ে তাঁরা এখন গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর আফগানদের বসতে হচ্ছে গাণিতিক হিসাবে।
আফগানরা যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে, আবার ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিতে পারে। তবে, গুলবাদিন নাইবরা নিতে পারেন কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস। তবে সেখানেই শেষ নয়।
অস্ট্রেলিয়া যদি ভারতকে ১ রানে ব্যবধানে পরাজিত করতে পারে এবং আফগানিস্তান যদি ৩৬ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জয় লাভ করে, অর্থাৎ অজিদের থেকে নেট রান রেটে এগিয়ে যায়। তবেই রশীদ খান-মোহাম্মদ নবীরা গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে।
সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়েই এবারে বিশ্বকাপে নেমেছিল আফগানিস্তান। তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের সেরা তালিকাতেও ছিল তাঁরা। রশীদ বাহিনী সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়ে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচেই।
তবে অবাক হলেও সত্য তাঁদের এই অস্ট্রেলিয়া বধের পর, সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন এখনো টিকে আছে বাংলাদেশের জন্য। শতকরা হিসেবে তা খুবই নগন্য। তবে টাইগারদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দল গুলোর দিকে।
অর্থাৎ, ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। সেই সাথে বাংলাদেশও যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশাল জয় নিশ্চিত করতে পারে, তবে ভাগ্য আর নেট রান রেটের কল্যাণে বাংলাদেশও যেতে পারে স্বপ্নের সেমিতে।
সমস্ত হিসাব-নিকাশের সমাধান সময়ই দিয়ে দিবে অল্পকিছু দিনের মাঝেই। তবে আফগানরা যে এক চুলও ছাড় দিয়ে খেলবে না, তা এখন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। তাঁরা ভিন্ন এক জয়ের মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামছে প্রতি ম্যাচ। যেখানে নেই শঙ্কা, নেই ভয়; আছে শুধু সাহসের সাথে মোকাবেলা করার শক্তি।