শুরুর দুই বোলারের একজন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে প্রথম ইনিংসে নতুন বল হাতে এক প্রান্ত থেকে একজন স্পিনার। দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন কিছু হলো ৮৬ বছর পর। এবারের আগে সবশেষ ছিল সেই ১৯৩৫ সালের ডিসেম্বরে।
সেবার জোহানেসবার্গে টস হেরে বোলিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রথম ওভারটি করেন ফাস্ট বোলার আর্নি ম্যাককরমিক, দ্বিতীয় ওভারেই আসেন লেগ স্পিন কিংবদন্তি বিল ও’রাইলি।
ও’রাইলি লেগ স্পিনার হলেও মানসিকতায় ছিলেন ফাস্ট বোলারদের মতো আগ্রাসী। বলও করতেন প্রায় ফাস্ট-মিডিয়াম বোলারদের গতিতে। তার বাউন্সে অনেক সময় উইকেটরক্ষকও ভড়কে যেত। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা এই স্পিনারের আগ্রাসী মানসিকতার কারণে তাকে বলা হতো ‘টাইগার’!
ও’রাইলি ওই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দারুণ এক চরিত্রও ছিলেন তিনি। তার গল্প অন্য কোনো সময় করা যাবে।
বাংলাদেশের এই ম্যাচ যে শহরে, পোর্ট এলিজাবেথে (যে শহরের এখনকার নাম গেবেখা) আগে একবারই প্রথম ইনিংসে নতুন বলে বোলিং করেছিলেন কোনো স্পিনার। সেটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষেক টেস্ট, সেই ১৮৮৯ সালে। ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনার জনি ব্রিগস প্রথম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশ এবারের আগে একবারই দেশের বাইরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে নতুন বল তুলে দিয়েছিল স্পিনারের হাতে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় এক প্রান্ত থেকে শুরু করে আবু জায়েদ চৌধুরি, আরেক প্রান্তে সাকিব আল হাসান। সাকিব ওই ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন ২২ ওভারে ৬০ রান দিয়ে।
মিরাজকে দিয়ে শুরু করাটা ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব একটা খারাপ লাগনি। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত থাকবেই। তবে এরকম শুষ্ক উইকেটে শুরুতে স্পিনে ২-১ ওভার দেখাটা খারাপ নয়। কাজে লাগা, না লাগা পরের ব্যাপার।
– ফেসবুক থেকে