তাহলে মহেন্দ্র সিং ধোনি স্ত্রীর পরের অবস্থানেই রাখেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। এমন দাবিটা খোদ রবীন্দ্র জাদেজার।
গুজরাট টাইটান্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের ফাইনালের কথা মনে আছে? শেষ বলে রবীন্দ্র জাদেজার চারের কথা? এসব কিছু মনে থাকলে, ম্যাচ শেষে জাদেজাকে কোলের তোলার দৃশ্যও মনে থাকার কথা। হ্যাঁ, কেননা স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজেই জাদেজাকে কোলে তুলে উদযাপন করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাইয় পঞ্চম শিরোপা জিতেছে গেল বছর। সেদিন বৃষ্টি বিঘ্নিত সে ফাইনালে গুজরাট ৪ উইকেট হারিয়ে পাহাড়সম ২১৪ রান করতে সমর্থ হয়। তবে ডিএলএস মেথডে চেন্নাইয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৭১ রান। ধোনির বিদায়ে জাদেজার আগমন ঘটে ১৩ তম ওভারে। তখন চেন্নাইয়ের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ১৪৯ রান।
২২ গজে তখন লড়ে যাচ্ছেন শিভাম দুবে আর রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। স্ট্রাইকে থাকা জাদেজা সামনে এগিয়ে সজোরে ছক্কা হাঁকান মোহিত শর্মার বলে। তখনও যেন আশংকার মেঘ কাটেনি হলুদ শিবিরে। শেষ বলে ফাইন লেগের দিকে বল ঠেলে দিয়ে জয়সূচক চারটি রান আদায় করে নেন ভারতীয় বাঁ হাতি এই ব্যাটার।
সঙ্গে সঙ্গে জাদেজা ছুটে যান অধিনায়ক ধোনির কাছে। আর তিনিও জাদেজাকে কোলে তুলে নেন। যা ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের ক্ষেত্রে সচারাচর দেখা যায় না।
সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংসের একটি প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে জাদেজা রসিকতা করে সেই উদযাপনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সাক্ষী (মহেন্দ্র সিং ধোনির সহধর্মিণী) ভাবির পর আমিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ধোনি ভাই কোলে তুলেছেন।’
এদিকে ধোনিও জাদেজার প্রশংসা করেন বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কেননা, আপনি জানেন জাদ্দু (জাদেজা) অনেক প্রতিভাবান এবং উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। তবে কেউই নিশ্চিত ছিল না যে এমনটাই হবে। এটা সত্যিই স্মরণীয় এক ইনিংস ছিল।’
জাদেজা সেই ম্যাচে ১ ছয়, ১ চারে ২৫০.০০ স্ট্রাইক রেটে ৬ বলে করেন ১৫ রান। আর বল হাতে নেন ৪ ওভারে ১ টি উইকেট। ৯.৫০ ইকোনমিতে দেন ৩৮ রান। চেন্নাইয়ের বিপদে ত্রাণকর্তা হিসেবে জাদেজার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। হোক জাতীয় দল কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি, দলের প্রয়োজনে নিজের সবটুকু প্রতিভা উজার করে দেন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার।