হেলস ঝড়ে উড়ল সিলেট, চলল ব্রিটিশ তাণ্ডব

সম্প্রতিই গনমাধ্যমে মজা করে বলেছিলেন, 'না, আমার নাহিদ রানার গতির বল খেলার বয়সটা আর নেই। নেটে শুধু থ্রোয়ার বল দিয়ে প্র্যাক্টিস করি।'  অথচ কথায় আর কাজে কি অদ্ভুত গড়মিল! দেশি-বিদেশী কোনো পেসারই পাত্তা পাননি এদিন হেলসের ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে।

চাপে না পড়ে কাউন্টার অ্যার্টাকে ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন তাওহীদ হৃদয়। চিরচেনা ছন্দেই যেন ফিরে এলেন দেশের ক্রিকেটের 'দ্য স্টারবয়'। আট বাউন্ডারি আর দুই ওভারবাউন্ডারির ইনিংসটা সেটার পক্ষেই সাক্ষ্য দেয়।

মাত্র সাতদিনের জন্য হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে খেলার অনাপত্তিপত্র পেয়েছিলেন রিশাদ। এই মারপ্যাঁচেই আর বিগব্যাশ মাতানো হয়নি তার। তবে বিপিএলে সুযোগ পেয়েই রিশাদ যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি। দেশের ক্রিকেটে রিশাদের লেগ স্পিন বিপ্লব চলছে, চলবে।

আসলে টিম কম্বিনেশনের কারণে বাধ্য হয়েই তাঁকে দাঁড়াতে হয় উইকেটের পেছনে। ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের একটা মাস্টার স্ট্রোক। উইকেটের পেছনে বাজিমাৎই করেছেন শান্ত।

পরের মৌসুমেই শাকিব খান ও তার পার্টনাররা দল চালাতে অপারগতা জানালে নিশ্চয়ই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর সেখানেই তো এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট। 

টেস্ট ক্রিকেটে এ পর্যন্ত অভিষেক ম্যাচে ডাবল-সেঞ্চুরি করেছেন সাতজন। সর্বশেষ জনের নাম ডেভন কনওয়ে। ২০২১ সালে কাঁটায় কাঁটায় ২০০ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

লেফট উইং ধরে উঠে এসে রাফায়েল লিঁও ক্রস দিয়েছিলেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে, আর ৯৩ মিনিটের মাথায় সেই ক্রসে পা ছুঁইয়ে দলকে মহামূল্যবান একটা গোল এনে দেন তিনি। আনন্দের জোয়ার ওঠে লাল সমুদ্রে।

তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন, টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরাদের একজন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য সব ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে, ম্যাচ জিতিয়েছেন – সেই অ্যালেক্স হেলস সাফ জানিয়ে দিলেন নেটে তিনি নাহিদ রানার বল এড়িয়ে চলেন।

শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের ২৮ মিনিটে, ফেদেরিকো ভালভার্দের পাস ডি বক্সের একটু বাইরে পান তিনি। সেখান থেকে কয়েক পা এগিয়ে বাম হাতের ম্যাজিক্যাল শট এবং গোল। ম্যাচের শেষভাগে আরো একবার জালের দেখা পান গুলার, ফ্রান গার্সিয়ার ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন তিনি।