এশিয়া কাপে খেলার উদ্দেশ্যে ভারত যখন শ্রীলঙ্কায় এসেছিল তখন তাঁদের সফর সঙ্গী ছিল এক ঝাঁক প্রশ্ন আর দুশ্চিন্তা। কিন্তু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি টুর্নামেন্ট শেষে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে তাঁরা, সেই সঙ্গে দূর হয়েছে দুশ্চিন্তাও। তাই তো ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে দেখা গিয়েছে খোশ মেজাজে।
জাসপ্রিত বুমরাহ, লোকেশ রাহুলদের ম্যাচ ফিটনেস, কুলদীপ যাদবের ফর্ম, মিডল অর্ডারে দুর্বলতা – বিশ্বকাপের আগে এমন দিকগুলোতেই স্বস্তি পেয়েছে ভারত।
বিভিন্ন ম্যাচ পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাকেও ইতিবাচক ভাবে দেখছেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ঈশান, হার্দিক যেভাবে খেলেছে, যে পরিপক্বতা তাঁরা দেখিয়েছে – দারুণ ছিল। আবার একাদশে থাকার ব্যাপারে পাঁচ মিনিট আগে জেনে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি করাও দুর্দান্ত ব্যাপার। আবার বিরাটের শতক, কুলদীপের বোলিং, পেসারদের পারফরম্যান্স সবাইকে খুশি করেছে।’
টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হওয়া কুলদীপ যাদবও বেশ সন্তুষ্ট নিজের এবং দলের পারফরম্যান্সে। এই স্পিনার বলেন, ‘আমার বোলিংকে এখন ভালবাসি। লেন্থ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম, সেটা নিয়ে কাজ করেছি। রোহিত ভাইকে কৃতিত্ব দিতে হয়, গতি বাড়ানোর জন্য তিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে লোকেশ রাহুল ভারতীয় দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে এই ক্রিকেটার জানান, ‘শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পারফর্ম করতে পেরেছি। ব্যাটিংয়ে রান পেয়েছি, গ্লাভস হাতেও ভাল করেছি।’
এছাড়া কলম্বোর স্পিন বান্ধব পিচে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপেও কাজে দিবে বলে মনে করেন এই ডানহাতি। তাঁর মতে, ‘মাঝের ওভার গুলোতে স্পিম খেলতে পারাটা বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্পিনাররা সাহায্য পায় এমন পিচে ভাল খেলাটা স্বস্তির।’
শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে অবশ্য সংশয় কাটেনি এখনও। যদিও এই তরুণকে নিয়ে আশাবাদী রোহিত। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা জায়গায় পিছিয়ে থাকায় শ্রেয়াস ফাইনালে খেলেনি। তবে আশা করি সে ইতোমধ্যে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছে।’
যদিও চোটের তালিকায় নতুন সংযোজন অ্যাক্সার প্যাটেল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন তিনি, সুস্থ হয়ে উঠতে আরো সাত-দশ দিন লাগতে পারে তাঁর। কিন্তু ততদিনে তিনি ফিট হবেন কি না সেটির নিশ্চয়তা নেই। তাই তো ব্যাকআপ হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তৈরি রাখছে টিম ইন্ডিয়া।
রোহিত শর্মা বলেন, ‘স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে অশ্বিন আছে, তাঁর সাথে আমার ফোনে কথা হচ্ছে নিয়মিত। টুর্নামেন্ট চলাকালে ওয়াশিংটন এশিয়ান গেমসের ক্যাম্পে ছিল, ফলে সে ফিট ছিল তাকেই ডাকা হয়েছে।’