জীবনে প্রথমবারের মত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফাইনাল খেলেছেন, চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন; আন্দ্রে রাসেলের সময়টা তাই ভালোই কাটছে। আর সেটির রেশ পাওয়া গেলো বিশ্বকাপেও, রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের কল্যাণেই জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাপুয়া নিউগিনির সাঁড়াশি আক্রমণ থেকে তিনিই রক্ষা করেছেন দলকে।
দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হয়েছে নবাগত একটা দল, ম্যাচের ফলাফল তাই অনুমিত ছিল। তবে ম্যাচজুড়ে যা হয়েছে সেটা বোধহয় অনেকেরই ভাবনাতে ছিল না। আসাদা ভালার বাহিনী অসম্ভব একটা জয় প্রায় পেয়েই গিয়েছিল, তবে তাঁদের শেষমুহুর্তের হৃদয় ভাঙ্গার কারণ হয়ে রইলেন রাসেল।
এদিন ব্যাট হাতে নয় বলে ১৫ রানের সংক্ষিপ্ত কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলেছেন এই ডানহাতি। চার ওভারে যখন চল্লিশ রান প্রয়োজন ছিল তখন তাঁর এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে বল হাতেও দারুণভাবে পারফরম করেছেন তিনি, তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
এদিন তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেছিলেন এই অলরাউন্ডার। নিজের প্রথম ওভারে কোন উইকেট না পেলেও ওভারে পাঁচটি ডট বল আদায় করেছেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে চার্লস আমিনি আর সেসে বাউয়ের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন; শেষদিকে আবার চাদ সোপার আউট হয়েছেন তাঁর বলে।
যদিও এই হার্ডহিটার কাজের কাজটা করেছেন ব্যাট হাতে, একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া ক্যারিবীয়দের রক্ষা করেছেন। তাঁর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের কারণেই মূলত মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছিল দলটি; তা নাহলে হয়তো এতক্ষণে ইতিহাস রচিত হতো গুয়ানার প্রভিনেন্স স্টেডিয়ামে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরো একাদশই অবশ্য পাওয়ার হিটারে পূর্ণ, তবু রাসেল তাঁদের মধ্যে আলাদা। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে, সবচেয়ে বিপদের সময় জ্বলে উঠেন তিনি। সেই কথাটাই আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন নিউগিনির বিপক্ষে পারফরম করে।