অলরাউন্ডার শিভাম দুবে বনে গেলেন জয়ের নায়ক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষবারের মত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় কোন পরীক্ষা দিতে হয়নি তাঁদের, নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে বড় জয় পেয়েছে দলটি।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুটা অবশ্য রয়ে সয়ে করেছিল। দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ পাওয়ার প্লেতে করেছিলেন মোটে ৩৩ রান, এরপর আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সফল হতে পারেননি। দুজনেই আউট হয়েছেন বিশের ঘরে, অভিষিক্ত রহমত শাহও স্মরণীয় কিছু করতে পারেননি; ৫৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।

সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী, আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ২৭ বলে ৪২ রান করে এই অলরাউন্ডার আউট হলে ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব পড়ে নাজিবুল্লাহ জাদরানের কাঁধে। হতাশ করেননি তিনি, ১১ বলে ১৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। আর তাতেই স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি জমা হয়।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা রোহিত শর্মার দিকে নজর ছিল সবার, কিন্তু প্রত্যাবর্তনে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন তিনি। দুই বলে কোন রান না করেই রান আউটে কাটা পড়েছেন এই ওপেনার। আগ্রাসী সূচনা পেয়েও বড় রান করতে পারেননি আরেক ওপেনার শুভমান গিল, ১২ বলে ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

তবে তিলক ভার্মা আর শিবম দুবে কোন বিপদ ঘটতে দেননি। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৪ রাম যোগ হয় বোর্ডে আর তাতেই জয়ের পথ সরল হয়ে যায় স্বাগতিকদের জন্য। ২২ বলে ২৬ রান করে তিলক আউট হলে কিছুটা সম্ভাবনা জেগে ওঠে, কিন্তু জিতেশ শর্মা সেটা আর বাড়তে দেননি। তাঁর ২০ বলে ৩১ রানের ক্যামিওতে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন মুজিব, নাভিনরা।

শেষদিকে বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন দুবে। তাঁর অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ছয় উইকেট আর ১৫ বল হাতে রেখে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। এর আগে বল হাতেও অবদান রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন নয় রানের বিনিময়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link