মোহাম্মদ আমিরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রয়েছে অনেক উত্থান-পতন। শুরুর দিকে তাকে সবাই কিংবদন্তি পাকিস্তানি বোলার ওয়াসিম আকরামের সাথে তুলনা দিলেও নিজের ভুলের জন্য তাকে থাকতে হয়েছিল দীর্ঘ সময় ক্রিকেট থেকে দূরে। বোর্ডের সাথে ঝামেলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরও নিয়েছিলেন তিনি।
তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অবসর থেকে ফিরে এসে খেলছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে চলমান বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে স্থায়ীভাবে অবসর নিবেন আমির।
২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে অভিষেক হয় মোহাম্মদ আমিরের। পাকিস্তানের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর বোলিংয়ে ধরাশায়ী হয়েছেন রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কের মতো ব্যাটাররা। তবে ২০১০ সালে সতীর্থ মোহাম্মদ আসিফ ও তখনকার অধিনায়ক সালমান বাটের সাথে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারেন আমির।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে আমির দোষ স্বীকার করেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। ফলে তাকে তিন মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয় এবং ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়েও অন্যতম ভূমিকা রাখেন আমির। যেখানে ফাইনালে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের উইকেটও নেন তিনি।
সাদা বলের ক্রিকটে মনোযোগ দিতে ২০১৯ এ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন আমির। এর ফলে বোর্ডের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং ২০২০ সালে আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকেই অবসর নেন।
তবে, সম্প্রতি অবসর থেকে ফিরে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে আসেন তিনি। তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে কানাডার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পায় পাকিস্তান। যেখানে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন আমির।
তবে, আবারও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তার অবসরের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগ দিতেই নাকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন আমির।