হেলমেটের ছেড়া স্ট্র্যাপ ছিল কেবলই অজুহাত

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইম আউট নিয়ে আলোচনা থামছেই না। বলতে গেলে, পুরো বিশ্ব ক্রিকেট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে এই ইস্যুতে; কারো কারও ধারণা সাকিব আল হাসানের উচিত হয়নি এমনটা করা, সে নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। আবার কেউবা বলছেন গেম অ্যাওয়ারনেসের জন্য প্রশংসা প্রাপ্য সাকিবের।

আসলে কি ঘটেছিল মাঠে, কি হওয়া উচিত ছিল সেসময় – সেসব উত্তর এবার দিলেন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা আদ্রিয়ান স্টোকহোল্ডার। তিনি অবশ্য প্রথমেই মনে করিয়ে দিয়েছেন আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর ক্ষেত্রে এমসিসির সকল আইনের প্রতি সম্মান রাখা হলেও এখানে আইসিসির নিয়ম আলাদা।

এরপর সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য দেন এই আম্পায়ার। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছিল হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ায় ম্যাথুসের দেরি হয়েছে কিন্তু তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এর আগেই নির্ধারিত ‘দুই মিনিট’ সময় পেরিয়ে গিয়েছিল।

তাহলে মানতেই হবে, ম্যাথুসের হেলমেটের অজুহাত দেয়া অযৌক্তিক ছিল। আম্পায়ারও সম্মতি দিয়েছেন এতে। তাঁর মতে, লঙ্কান তারকার উচিত ছিল সবকিছু চেক করে প্রস্তুত থাকা। তাই তাঁর হেয়ালিকে দায় দেয়া ছাড়া উপায় নেই।

টাইম আউটের নিয়ম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো এমসিসির সকল ধারা সম্মান করে, তবে বিশ্বকাপের নিয়ম আলাদা। এবং নিয়মানুসারে একজন ব্যাটার আউট হলে দুই মিনিটের জন্য পরবর্তী ব্যাটারকে মাঠে আসতে হবে এবং ব্যাটিংয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের টিভি আম্পায়ার রয়েছেন, উনি এই সময়ের হিসেব রাখেন।’

স্টোকহোল্ডার আরো যোগ করেন, ‘ম্যাথুস আজ দুই মিনিটের মধ্যে ব্যাটিং প্রান্তে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। স্ট্র্যাপের সমস্যা হওয়ার আগেই তাঁর অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।’

কিভাবে ‘টাইম আউট’ এর ব্যাপার এসেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন সাধারণত আবেদন করে থাকেন। আম্পায়ার ম্যারিয়াস ইরাসমাসের কাছে সাকিব আল হাসান প্রথমে আপিল করেছিলেন। ম্যাথুস যখন হেলমেটের সমস্যার কথা বলছিল তখনি সে আম্পায়ারদের সাথে টাইম আউটের ব্যাপারে কথা বলেছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link