পরিবর্তনের সময় এসেছে নির্বাচক প্যানেলেও

প্রায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। দীর্ঘ এ সময়কালে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই অবশ্য ভারী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। যার সর্বশেষটা এলো ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির মাধ্যমে। টানা এ ব্যর্থতার কারণে নান্নুর পরিবর্তন চান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। 

প্রায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। দীর্ঘ এ সময়কালে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই অবশ্য ভারী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। যার সর্বশেষটা এলো ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির মাধ্যমে। টানা এ ব্যর্থতার কারণে নান্নুর পরিবর্তন চান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তাঁর মতে, একজন মানুষ যখন একই পদে ১২ বছর ধরে থাকবেন, তখন তাঁর ভাবনাটা একই জায়গায় আটকে থাকবে। সেটাই স্বাভাবিক।

এ নিয়ে আজ ভারতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় আশরাফুল বলেন, ‘শেষ ৩ টা আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ভাল করেনি। যে সমস্যাটা ২০২১-এ ছিল, এটা ২০২৩ বিশ্বকাপেও থেকে গেছে। আর সত্যি বলতে নির্বাচকের পদটা এতদিন ধরে রাখারও জায়গা না। এটা সর্বোচ্চ ২ থেকে ৪ বছর রাখা যেতে পারে। তাহলে নতুন ব্রেইন আসতে পারেন। নতুন আইডিয়া তৈরি হবে তাতে। আমরা যদি পরিবর্তনই না করি, তাহলে শেষ ২৩ বছর ১০/১২ টা কোচ কেন পরিবর্তন করলাম? এখানে নতুন কারো আসা উচিৎ।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নির্বাচক হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকলে আশরাফুল কি সেটা গ্রহণ করবেন? এমন প্রশ্নে ইতিবাচক সুরেই আশরাফুল বলেন, ‘সুযোগ থাকলে অবশ্যই কাজ করতে চাই। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, ক্রিকেট থেকে অবসরে পর আমি ক্রিকেট নিয়েই থাকব। সে হিসেবে এই পদে কাজ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’

বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচক প্যানেল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে গিয়েই যে মূল সমস্যাটা করছেন তা জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘দেখেন, ওপেনিং সমস্যা কিন্তু এবারই প্রথম না। গত ৩ টা আইসিসির টুর্নামেন্টেই এ সমস্যা ছিল। সিলেক্টররা কিন্তু এ সময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাই চালিয়ে গেছে। কিন্তু আইসিসির টুর্নামেন্ট কি এক্সপেরিমেন্টের জায়গা। তাদের দর্শন হলো- এমন একটা খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবা যে ১০/১২ বছর সার্ভিস দিতে পারবে। এটা খারাপ ভাবনা, তা বলছি না। কিন্তু প্রত্যেকটা ক্রিকেটার যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ৪ বছর সময় নিবে, সেটা দলের জন্য হিতে বিপরীতও হতে পারে। এ জন্য কিছুটা সমন্বয় প্রয়োজন। ধরেন, আপনি একজনকে নিয়ে ৬ মাস বা ১ বছর পরিকল্পনা করলেন। সেটাও কিন্তু ফলপ্রসূ হবে। কারণ ঐ সময়ের ফর্মে থাকা খেলোয়াড়টিকেই আপনি দলে নিচ্ছেন।’

এ পর্যায়ে বিশ্বকাপের দলে ইমরুল কায়েসকে নেওয়া যেত মন্তব্য করে আশরাফুল বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে ওপেনিং সমস্যা ছিল। কেউ ইমরুল কায়েসের কথা ভাবেওনি। কিন্তু সে তামিমের যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট হতে পারতো। এবারের ডিপিএলে প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মতো রান করেছে। এই কাজটা কিন্তু ঠিকই ভারত করেছে। তাঁরা অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। চাইলেই অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় তাঁরা ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিতে পারতো। কিন্তু তাঁরা নিয়েছে আশ্বিনকে। যে শেষ ৪/৫ বছরে ওয়ানডে খেলেনি বললেই চলে।’

২০১৫/১৬ এর দিকে তুষার ইমরানের সাথেও অন্যায় হয়েছে মন্তব্য করে আশরাফুল আরো যোগ করে বলেন, ‘ঐ সময়ে প্রায় ৩ বছরে সে ১৭০০ এর উপরে রান করেছে। অথচ নির্বাচকরা তাঁর দিকে ঘুরেও তাকায়নি। অথচ ঐ সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে হলেও দলকে সার্ভিস দিতে পারতো। কিন্তু নির্বাচকরা শুধু ভবিষ্যতের কথাই ভেবে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে ব্যর্থতার গ্লানি মাখতে হচ্ছে সেটা ভাবেনি।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...