খানিকটা হোঁচট খেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জয়ের পথে হাঁটা শুরু করতে সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর টানা দুই জয় তুলে নিলো তাঁরা। শ্রীলঙ্কার পর এবার পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।
টসে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বাবর আজম। সেই সিদ্ধান্ত বোধহয় পছন্দ হয়নি অজি ওপেনারদের। তাই তো রাগ ঝেড়েছেন পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপের উপর। দুজন মিলে স্রেফ তুলোধুনো করেছেন বোলারদের, বলতে গেলে টি-টোয়েন্টি মেজাজে রান তুলেছেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত।
প্রথম দশ ওভারেই এই দুই ব্যাটার স্কোরবোর্ডে জমা করেছিলেন ৮২ রান। এরপর ১৩ তম ওভারেই পূর্ণ করেন দলীয় শতক; বারবার বোলার বদলেও লাভের লাভ হয়নি কিছুই। ৩০ ওভারের আগেই বিনা উইকেটে ২০০ রান করে অস্ট্রেলিয়া; খানিক পরে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই তুলে নেন স্ব স্ব শতক।
শেষমেশ শাহীন শাহ আফ্রিদি ১২১ রান করা মিচেল মার্শকে আউট করলে ভাঙে ২৫৯ রানের জুটি। পরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান তিনি। এরপরই রান তোলার গতি কমে আসে, তবে ওয়ার্নার এক পাশ থেকে চালিয়ে গিয়েছেন তান্ডব। হারিস রউফের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২৪ বলে ১৬৩ রান।
এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান বলার মত পারফর্ম করতে না পারায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষটা ছিল কিছুটা আক্ষেপময়। একটা পর্যায়ে ৪০০ পেরিয়ে যাবে মনে হলেও শেষপর্যন্ত তাঁরা ৩৬৭ রানের টার্গেট দেয় বাবর আজমদের।
পাহাড়সম লক্ষ্য, তবে লড়াই করার চেষ্টাটা করে গিয়েছে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় দলটি, ইমাম উল হক এবং আবদুল্লাহ শফিক দুজন মিলে করেন ১৩৪ রান। এই জুটিতে ভর করে যখন জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকেরা, তখনি দৃশ্যপটে আসেন মার্কাস স্টয়নিস। নিজের দুই ওভারে দুই ওপেনারকে আউট করেন তিনি, তবে আউট হওয়ার আগেই দুজনেই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি।
চাপের মুখে হাল ধরতে পারেননি বাবরও, তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান আর সৌদ শাকিল চেষ্টা করে গিয়েছেন। ৩০ রান করে শাকিল অবশ্য আউট হন ৩৫তম ওভারে। এরপরও আশা ছিল, কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার পরপর তিন ওভারে রিজওয়ান, ইফতেখার আর নওয়াজ আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় সব সম্ভাবনা।
শেষপর্যন্ত পাকিস্তান থেমেছে ৩০৫ রানে। তাতেই বিশাল জয় পেয়েছে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া। সেই সাথে সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে বাবর আজমরা।