কেন ওয়াইড হয়নি নাসুমের সেই ডেলিভারি?

অবশ্য তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে তাঁর জন্য প্রশংসার পরিমাণ কমেনি একটুও। 

বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের টার্গেট সাত উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে ভারত। তবে জয় পরাজয় ছাপিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে হট টপিক এখন বিরাট কোহলির ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আট বছর পর বিশ্বকাপ মঞ্চে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন তিনি।

কিন্তু সেজন্য এক নাটকীয় পরিবেশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এই তারকাকে। জয়ের জন্য ভারতের যখন প্রয়োজন ছিল ১৯ রান, সেঞ্চুরির জন্য তাঁরও প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। এরপর থেকে একাই দলকে বাকি পথ টেনে নিয়েছেন, তাই তো একই সঙ্গে জয় আর শতক উদযাপন করতে পেরেছেন তিনি।

কিন্তু ৪২তম ওভারে ঘটেছিল চোখে লাগার মত একটা ঘটনা; ভারতের তখন আর দুই রান দরকার, বিরাটের তিন রান। বোলিংয়ে আসা নাসুম আহমেদ হুট করেই ব্যাটারের পায়ের দিকে বল করেন, এই ডানহাতি খানিকটা সরে গেলে বলটা লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে কিপারের গ্লাভসে জমা হয়। মজার ব্যাপার, সেটি তখন ওয়াইড দেননি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলব্যুরো।

আইসিসির নিয়ম মেনেই এমনটা করেছেন তিনি। মূলত ব্যাটসম্যানের নড়াচড়ার কারণে যদি বল তাঁর নাগালের বাইরে দিয়ে যায় সেক্ষেত্রে ডেলিভারি বৈধ বলে গণ্য হবে। অবশ্য তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে তাঁর জন্য প্রশংসার পরিমাণ কমেনি একটুও।

বিরাট কোহলির দুর্দান্ত এই ইনিংসে লোকেশ রাহুলের অবদানও কম নয়। শেষদিকে তিনিই সুযোগ করে দিয়েছিলেন সতীর্থকে। এ ব্যাপারে এই উইকেটকিপার বলেন, ‘আমি সিঙ্গেল রান নিতে চাইনি। সে (কোহলি) বলেছে সিঙ্গেল না নিলে খারাপ দেখাবে, দর্শকেরা কি না কি ভাববে। কিন্তু আমি তাঁকে নিশ্চয়তা দিয়েছি, দল অনায়াসে জিতবে, তাঁর সেঞ্চুরি পূরণ করুক। এবং শেষ পর্যন্ত সে সেটাই করলো।’

ম্যাচের নায়ক নিজেও বেশ খুশি এমন পারফরম্যান্সে। তিনি বলেন, ‘জাড্ডু থেকে এটি (প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার) নিয়ে নেয়ার জন্য দুঃখিত। আমি ম্যাচে বড় কোন অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল এবং আমি আমার মত খেলতে পেরেছি। বাজে বল হিট করতাম এবং যখনই পারতাম বাউন্ডারি বের করতাম। তাছাড়া এত দর্শকের সামনে খেলার অনুভূতি দারুণ।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...