অজিদের দাপটে দুই দিনেই শেষ প্রথম টেস্ট!

দুই দিনেই উত্তাপ ছড়ানো অ্যাশেজের শুরুর দখলটা নিল অস্ট্রেলিয়া। পেস-বান্ধব উইকেটে শাসক হয়ে এলেন ট্রাভিস হেড, আর তাতেই ইংল্যান্ডের রণতরী ডুবিয়ে দিয়ে মর্যাদার লড়াইয়ের প্রথমটি নিজেদের করে নিল অজিরা।

দুই দিনেই উত্তাপ ছড়ানো অ্যাশেজের শুরুর দখলটা নিল অস্ট্রেলিয়া। পেস-বান্ধব উইকেটে শাসক হয়ে এলেন ট্রাভিস হেড, আর তাতেই ইংল্যান্ডের রণতরী ডুবিয়ে দিয়ে মর্যাদার লড়াইয়ের প্রথমটি নিজেদের করে নিল অজিরা।

শুরুটা করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। অভিজ্ঞতার ঝুলি হাতে মরণকামড় বসিয়েছিলেন ইংলিশ শিবিরে। একাই সাত উইকেট তুলে ইংল্যান্ডকে বেঁধে রেখেছিলেন ১৭২ রানে। তবে পরের কাজটা মোটেও সহজ হলো না।

ইংলিশদের ছাই-চাপা আগুন নতুন করে জ্বালিয়ে দেন বেন স্টোকস। কাপ্তানের কাপ্তানিতে মাত্র ১৩২ রানেই শেষ হয়ে যায় অজিদের দম্ভ। পাঁচ উইকেট শিকার করে স্টোকস এক বার্তা ছুড়ে দেন অজি শিবিরে, লড়াইটা কেবল শুরু।

ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্রটা তো জানা অজিদের। সেই মন্ত্রবলে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে টেনে ধরলেন স্টার্ক, বোল্যান্ড এবং ডাগেট, এই পেস ত্রয়ী মিলে। ফলাফল, এবারও ১৬৪-তেই শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস।

তবে ৪০ রানে এগিয়ে থাকার পর যোগ হওয়া ১৬৪ রানের ফলে অজিদের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ২০৪ রানের। পার্থের এই উইকেটে এটা যে খুব সহজ হবে না অজিদের জন্য তা অনুমেয়ই ছিল। তবে কঠিন কাজটাকে স্রেফ পানির মত সহজ বানিয়ে নিলেন ট্রাভিস হেড।

এক প্রান্তে যেন চলল তাঁর তাণ্ডব। টেস্ট নয়, টি-টোয়েন্টি মুডে গিয়ার শিফট করলেন, শতক হাঁকালেন। শেষপর্যন্ত ৮৩ বলে ১২৩ রান করে যখন সাজঘরে ফিরলেন, ম্যাচ জেতা তখন সময়ের দাবি। ২০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা অতি সহজেই পার করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।

আর তাতেই মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়ে গেল প্রথম টেস্ট। আভিজাত্যের লড়াইয়ে প্রথম হাসিটা হাসল অজি শিবির। অবশ্য এমন দাপুটে অস্ট্রেলিয়ার সামনে আর কিই–বা করার ছিল ইংলিশদের?

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link