‘মেকশিফট ওপেনার’ বিষয়টার সাথে আমরা সবাই বেশ পরিচিত। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজকে তো সে রোলেই দেখা গেছে বহুবার। এমনকি বিশ্বকাপেও তিনি খেলেছেন মেকশিফট ওপেনার হিসেবে। ঠিক তেমনিভাবে মেকশিফট টপ অর্ডার ব্যাটার বনে গিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে দারুণ এক ইনিংসও খেলেছেন তিনি।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে অক্ষর প্যাটেলের জন্যেও গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তিন নম্বরের ব্যাট করাটা ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জের কাজ। কেননা দলের নিয়মিত পারফরমার জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক আউট হন দ্রুতই। এরপর অক্ষর বাইশ গজে আসেন।
তার সামনেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অভিজ্ঞ পৃথ্বী শ ও শাই হোপ। ছয় ওভার শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ৪৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকেই পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে সেই মুহূর্তে দারুণ দৃঢ়তার পরিচয়ই দেন অক্ষর প্যাটেল।
তিনি জুটি গড়েন ঋষাভ পান্তের সাথে। প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টায় একটু রয়েসয়ে ইনিংস বড় করতে শুরু করেন অক্ষর প্যাটেল। তাকে দেখে মনে হওয়ার উপায়ই নেই যে তিনি নিয়মিত টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন না। দারুণ সেই চাপ সামলে অবলীলায় ব্যাটিং চালিয়ে যান অক্ষর।
১১৩ রানের জুটি গড়েন তিনি পান্তের সাথে। সে যাত্রায় ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দিকেও পৌঁছে যান। শেষ পর্যন্ত নুর আহমেদের বলে আউট হয়ে যেতে হয়েছে তাকে। তবে সে বলেও বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। তার আগে বেশ কিছু বড় শট সফলতার সাথেই খেলেছেন তিনি। ৪টি বিশাল ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। পাশাপাশি ৫টি চার মেরেছেন তিনি।
১৫৩ স্ট্রাইকরেটের এক দারুণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪৩ বলে ৬৬ রানে থামেন অক্ষর প্যাটেল। মেকশিফট টপ অর্ডার হিসেবে দলের বিপর্যয় সামলেছেন। রানের গতি স্তিমিত হতে দেননি। ইনিংস বিল্ডআপের কাজও করেছেন তিনি। সত্যিকার অর্থেই একজন তিন নম্বর ব্যাটারের রুপেই আবির্ভূত হয়েছে অক্ষর।