দীর্ঘকায় এক শরীর নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে পদার্পণ করেছেন আজম খান। এ জন্যে অবশ্যে তাকে বহু ট্রলের শিকার হতে হচ্ছে প্রতি নিয়ত। এমনকি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার উত্থানের পথে বিশাল এক বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার ফিটনেস। যদিও পাকিস্তানের জার্সিতে আজমের দূর্বলতার দায় টিম ম্যানেজমেন্টের কাঁধে তুলে দিচ্ছেন তার বাবা মঈন খান।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খান মনে করেন, দলের ব্যবস্থাপনাই আজম খানকে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ দিচ্ছে না। বিশ্বকাপেও তাকে এক ম্যাচ খেলিয়ে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়ার কোন যুক্তি খুঁজে পাননা মঈন খান। একটি ম্যাচ দেখেই সিধান্ত নিয়ে নেওয়া যুক্তিসংগত নয় বলেই মত মঈনের।
তিনি বলেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকাপ দেখেছি। আমার মনে হয়েছে আজম উইকেটকিপিং ও ব্যাটিংয়ে মূল পরিকল্পনার অংশ ছিল। কিন্তু হুট করেই, এক ম্যাচের পর সকল পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়ে গেল।’ আজম খানকে ঘিরেই ছক সাজানো ছিল বলেই ধারণা ছিল মঈন খানের।
তবে আজমকে পরবর্তী আর সুযোগ দেওয়াই হয়নি। এ বিষয়ে মঈন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে প্রথম বলে আউট হওয়ার পর আজমকে আর সুযোগ দেওয়া হল না। যে কোন খেলোয়াড় প্রথম বলে আউট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু খেলোয়াড়দের বিকশিত করবার সংস্কৃতি আগে থাকলেও এখন সেটা নেই। হোক সেটা অধিনায়ক কিংবা ম্যানেজমেন্ট, এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে আমরা কি করে ভাল খেলোয়াড় গড়ে তুলব?’
নিজের ছেলে বলে আজমের সমালোচনা করতে অবশ্য দ্বিধাবোধ করেননি মঈন। তিনিও জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার মত ফিটনেস নেই আজমের। তবে তিনি স্বচক্ষে আজমের চেষ্টা দেখছেন। স্বল্প দিনের এই ক্যারিয়ারে আজম তার অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছেন অনেক কিছু। তাই তিনি নিজের ফিটনেসের দিকেও দিচ্ছেন মনোযোগ।
ছেলের এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে মঈন বলেন, ‘আমি বলছি না যে সব দোষ টিম ম্যানেজমেন্ট বা অধিনায়কের। আজমেরও দূর্বলতা রয়েছে। তার উচিত নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দৃঢ় করা। সেই সাথে একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেস রুটিন মেনে চলা।’
মঈন আরও বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে আমি দেখছি সে তার ফিটনেসে উন্নতি করতে কাজ করছে তার প্রশিক্ষক শেহজার মোহাম্মদের সাথে। এমনকি তাকে ক্যারিবিয়ান লিগেও সাথে করে নিয়ে গেছে। আমি আশা করি সে তার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছে।’