পর্বতসম জয় বিলিয়েছে স্বস্তির বাতাস

প্রত্যাশিতভাবেই নেপালের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজম, ইফতেখার আহমেদের ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পরেই ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে গিয়েছিল নেপাল; বল হাতে বাকি কাজ সেরেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খানরা। কোন অঘটন না ঘটলে এই জয়ে পাকিস্তানের সুপার ফোরে জায়গা পাওয়াও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

স্বস্তির এই জয় শেষে বাবর আজমের কণ্ঠেও ঝরেছে সন্তুষ্টি। একই সাথে ব্যাটারদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি তিনি। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি যখন মাঠে গিয়েছিলাম, তখন পিচে বল আসছিল না। রিজওয়ান এবং আমি একটি জুটি গড়ে তুললাম; কখনো সে আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, কখনো উল্টোটা হয়েছে। এরপর ইফতেখারকেও সেট হওয়ার আগে কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়েছে। দুই-তিনটা চার মারার পরে সে ছন্দ খুঁজে পায়। আর ৪০ ওভারের পর সে তো একেবারে তান্ডব চালিয়েছে।’

বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে এই ডানহাতি বলেন, ‘দুই একটা ওভারে হয়তো আমরা আপ টু দ্য মার্ক ছিলাম না। তবে পেসাররা ভালো শুরু করেছিল, স্পিনাররাও উইকেট পেয়েছে।’

নেপালের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয় ভারত ম্যাচে ভাল খেলার জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে বলেই মনে করেন পাকিস্তানি এই তারকা। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচটি ভারতের বিপক্ষে ভালো করার প্রস্তুতি ছিল কারণ এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমরা প্রতি ম্যাচে ১০০ ভাগ দিতে চাই, আশা করি সেখানেও তা করব।’

অন্যদিকে নেপালের রোহিত পাউডেলের কথাতে ছিল আরেকটু ভাল খেলতে না পারার আক্ষেপ। এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমরা বল হাতে শুরুটা ভাল করেছিলাম। কিন্তু দুজন সেট ব্যাটার আমাদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গিয়েছে। এর চেয়ে অনেক ভাল ব্যাটিং আগে করেছি কিন্তু আজকে হয়নি তেমনটা।’

তবে এখনি থেমে যেতে চান না রোহিত। বড় দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান দলকে। তিনি জানান, ‘ডেথ ওভারে আরো ভাল বোলিং করার শিক্ষাটা আমরা এই ম্যাচ থেকে পেয়েছি। এছাড়া পুরো ব্যাটিং ইউনিটকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’ এসবের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের কাপ্তান বাবরের প্রশংসাও করেছেন এই নেপালি।

ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার বাবর আজম পেয়েছেন ঠিকই, তবে ম্যাচের সেরা পারফর্মার ছিলেন আরো বেশ কয়েকজন। বিশেষ করে সেঞ্চুরিয়ান ইফতেখার আহমেদের সঙ্গে শাদাব খানেরি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

নিজের পারফরম্যান্স এবং দলের অন্যদের নিয়ে কথা বলেছেন এই লেগি। তিনি অবশ্য বাবর আজমকে নিয়ে কিছু বলেননি, কেননা তাঁর কাছে বাবর বিশ্বসেরা। তবে ইফতেখার, শাহীন, রউফদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি এই অলরাউন্ডার।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পাকিস্তান যে স্বস্তিতে থাকবে সেটা বাবর আজমদের কথাতেই স্পষ্ট। তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তেমন প্রস্তুতি ছাড়া খেলাটা চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য। সেই চ্যালেঞ্জ কতটা ভালভাবে উতরাতে পারে শাদাবরা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link