বিপিএলেও ‘বাদশাহী’ বাবর

বাবর আজম আসছেন বিপিএলে। জানা গিয়েছিল আগেই। রংপুর রাইডার্সের জার্সি গায়ে সেই অপেক্ষারও অবসান অবশেষে ঘটলো। ৬ বছর পর আবার বিপিএলের মঞ্চে দেখা গেল বাবরকে। শুধু তাই নয়, ধুঁকতে থাকা রংপুর রাইডার্সকে জেতালেন প্রায় একা হাতেই। বিপিএলের এ আসরে নিজের শুরুর ম্যাচেই হাঁকালেন ফিফটি। খেললেন ৪৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্যটা সহজই ছিল। মোটে ১২১ রান। কিন্তু ওই ছোট রান তাড়া করতে নেমেই রীতিমত ব্যাটিং ধ্বস শুরু হয় রংপুরের ইনিংসে। টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর লঙ্কান লেগ স্পিনার দুশান হেমন্তর এক ওভারেই ফিরে যান শামিম হোসেন, মোহাম্মদ নবী ও শেখ মেহেদী হাসান। আর এতেই ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কিন্তু দলের এমন সংকটের সময় ক্রিজ আকড়ে পড়ে ছিলেন বাবর আজম।

আর পাকিস্তানি এ ব্যাটারের ঢাল হয়ে ওঠার দিনেই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত সেটি নিজেদের করে নিতে পারেনি সিলেট। অবশ্য দলের বাজে ব্যাটিংয়ের দিনও এ দিন বাবর পেয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের যোগ্য সঙ্গ। আফগান এ অলরাউন্ডারের সাথে ৮৬ রানের জুটিতেই রংপুরকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর।

অবশ্য এ দিন রংপুরের অন্যান্য ব্যাটারের মতো শুরুতে কিছুটা নড়বড়েই ছিলেন পাকিস্তানি এ ব্যাটার। কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেট খেলে এসেছেন। এর ঠিক কয়েক দিন বিরতির পরেই আবার তিনি মাঠে নেমেছেন মিরপুরের স্পিনস্বর্গে। সব মিলিয়ে শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতেই ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু বাবর আজম বলে কথা।

এরপর ইনিংস যতদূর গড়িয়েছে, বাবর ততই নিজেকে সামলে নিয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত ব্যাট করেছেন গোটা ইনিংস জুড়েই। ১২১ রানের লক্ষ্যেও দলের যখন এমন দুর্দশা, তখন প্রয়োজন ছিল উইকেট কামড়ে পড়ে থাকা। বাবর সেটাই করেছেন। তবে এর মাঝেও বাবর বাউন্ডারি খুঁজে নিতে ভুল করেননি। ৫৬ রানের ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন ৬ টা চার।

অবশ্য এ দিন ব্যাটিং বাদে ফিল্ডিংয়েও দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা। তাঁর ডিরেক্ট থ্রোতেই আউট হন দুশমন্ত হেমন্ত। এরপর ম্যাচ পরিস্থিতিতে খেলেছেন ৫৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সব মিলিয়ে এবারের বিপিএলে বাবরের শুরুটা দুর্দান্তই হল। একই সাথে, তাঁর দল রংপুর রাইডার্সও পেল জয়ের নিশানা। বাবরও হয়তো নিশ্চয়ই বাকি অংশে দলের জয়ে সারথি হতে চাইবেন।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link