বাবরের স্ট্রাইক রেট বারবারই বিপদে ফেলে পাকিস্তানকে

বাবর আজমের ব্যাটিং সৌন্দর্য্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সংশয় নেই তাঁর ধারাবাহিকতা নিয়েও। মোটামুটি একটা বড় ইনিংস তিনি প্রায় প্রতি ম্যাচেই খেলেন। কিন্তু, সমস্যা অন্য জায়গায়। সমস্যা তাঁর ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে। তিনি যে ঘরানার ব্যাটিং করে সেটা আধুনিক টি-টোয়েন্টির যুগে এসে খুবই অকার্যকর হয়ে যায় প্রায়শই।

বাবর আজম অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। ঠিক হারাননি, তিনি নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর জায়গাটা দেওয়া হয়েছিল শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।

কিন্তু, এক সিরিজ যেতে না যেতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বোঝা হয়ে গেছে যে অধিনায়কত্বের জন্য বাবরের চেয়ে যোগ্য লোক আর নেই। তবে, একই সাথে এটাও ঠিক যে অধিনায়কত্বের মত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোমেন্টাম নষ্ট করতে বাবরের সেকেলে একটা ইনিংসই যথেষ্ট।

বহুবার বলে বলে ক্লিশে হয়ে গেলেও এটাই সত্য যে বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট বারবারই বিপদে ফেলে পাকিস্তানকে।

এমনিতে বাবরের ছন্দ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর ব্যাটিং গড় ৪১-এর ওপরে। সব রকমের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে করেছেন ১০ হাজারের ওপর রান। যেখানে কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার হাজার টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন।

সেখানে বাবরের স্ট্রাইক রেটটা খুবই প্রাগৈতিহাসিক। ১৩০-এর নিচে। বছর দশেক আগেও হয়তো এই স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। তবে, বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন। এখন, নিয়মিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২৫০ থেকে ২৮০ রান উঠছে। প্রতিপক্ষ দলগুলো সেই রান তাড়াও করছে দিব্যি। সেই অবস্থায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে বাবরের এই স্লথ ইনিংসগুলো খুবই দৃষ্টিকটু।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ বলে ৩৭ রান করে ফিরলেন। ওপেনার হিসেবে নেমে বাবর চাইলেই সমান সংখ্যক বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এটুকু তো আপনাকে করতেই হবে। কিন্তু বারব পারছেন না। তিনি স্রেফ নামের জোরেই জায়গাটা আগলে রেখেছেন। এভাবে আর কতকাল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link