‘আমি পারফরম্যান্সের জোরে পাকিস্তান দলে এসেছি, তাই অতীত নিয়ে ভাবি না।’ বেশ দৃঢ় এক বক্তব্য। নিজের সিধান্ত নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী উসমান খান। যদিও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে তার শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি।মোটাদাগে বলে দেওয়া যায় তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
উসমান খানের জন্যে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপানো মোটেও সহজ ছিল না। কেননা নিশ্চিত ভবিষ্যত ফেলে তাকে বেছে নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। এরপর আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড থেকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আরব আমিরাতের কোন ধরণের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না উসমান।
বিশাল এক আর্থিক লোকসান তা বলতেই হয়। তবে উসমান সে প্রলোভনকেও উপেক্ষা করেছেন। তিনি স্রেফ পাকিস্তানের জার্সি গায়ে চাপাতে চেয়েছেন। সম্ভবত তার মনেও ছিল বহুদিনের সুপ্ত বাসনা। পাকিস্তান সুপার লিগে দারুণ পারফরম করে পাকিস্তান জাতীয় দলের দুয়ার খোলেন তিনি।
২০২৪ আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ১৬৪ এর বেশি স্ট্রাইকরেট ও ১০৭ গড়ের সুবাদেই পাকিস্তানের হয়ে খেলার প্রস্তাব পান। সেটা ফিরিয়ে দেওয়া যে কারও জন্যে বেজায় দুষ্কর। তিনি ফিরিয়ে দিতে পারেননি।
তবে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার প্রক্রিয়াতে বেজায় চাপে তিনি ছিলেন নিশ্চয়ই। অবচেতন মস্তিষ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ফেলে আসা সুযোগগুলো। সেসবের কারণেই নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সর্বসাকুল্যে ৫৮ রান করেছেন তিনি চার ইনিংসে ব্যাট করে।
সেকারণেই সবার মনে জেগেছে প্রশ্ন, উসমান কি তবে খুব বড় ভুল করলেন? যদিও উসমান মানতে নারাজ যে তিনি কোন ভুল করেছেন। তিনি তার সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট বটে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। আমার সিদ্ধান্তের জন্য আমার কোন অনুশোচনা নেই।’
তাছাড়া চাপের বিষয়টি উড়িয়ে দিতে চাইলেন। তিনি নির্ভার হয়েই খেলেছেন তেমন মত উসমানের। তিনি বলেন, ‘আমাকে দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি বলে আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। আমি আমার খেলার প্রতি সৎ থাকি এবং দলের চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করি। যেকোন পজিশনে ব্যাটিং করতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
অবশ্য উসমানের ঢাল হয়ে দাড়িয়েছেন বাবর আজম। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দলের ব্যাপারটা হলো এখানে চাপ আছে। আমি জানি যে উসমান অনেক কিছু রেখে এসেছে, তাই সেসব তার মনের মধ্যে থাকবে। তবে সে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।’ উসমান পেয়েছেন বাবরের সমর্থন। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। পারফরম না করতে পারলে অকুল পাথারে দিশেহারা হয়ে পড়বেন উসমান খান। তা রীতিমত সুনিশ্চিত।