চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পাকিস্তানি ভক্ত বা সাবেক ক্রিকেটার কেওই সন্তোষ নন পাকিস্তানের এমন খেলায়। বাবর আজমের নেতৃত্বে দলটি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের পর বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা।
বিশ্বকাপ থেকে এমন বিদায়ের পর হতাশ সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সম্প্রতি দলে বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কত্ব পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি তার মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে বাবর আজমের উচিত ছিল শাহীন আফ্রিদিকে যখন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল তখন তাকে সমর্থন করা।
তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘যদি শাহীনের অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে এবং আপনি বলেছিলেন যে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক থাকবেন। তবে আমি মনে করি বাবরের সেখানে শাহীনকে সমর্থন করা উচিত ছিল।’
আফ্রিদি মনে করেন, ‘বাবরের বলা উচিত ছিল, আপনি যদি শাহীনকে অধিনায়ক করেন তাহলে আমরা তার অধিনায়কত্বে খেলতে প্রস্তুত। কারণ শাহীন আমাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। যদি তাকে অধিনায়ক করা হয় এবং নির্বাচক কমিটি তাকে অধিনায়ক করে তবে আমি তাঁর সমর্থন করি। আমরা তাঁর অধিনায়কত্বেই খেলব।এমনটাই বাবরের বলা উচিত ছিল। এতে বাবরের সম্মান অনেক বেড়ে যেত। তিনি অসাধারণ সিদ্ধান্তটি নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন।’
তবে দোষটি সম্পূর্ণ বাবরের ছিল তিনি তা মনে করছেন না। নির্বাচক কমিটির এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে বাবরের দোষ ছিল না। কিছু দোষ নির্বাচক কমিটিরও ছিল। কারণ কিছু নির্বাচক এমন বলেছেন যে বাবর জানেন না কিভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয় ।’
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক বিদায়ের পরে অধিনায়কত্বের উপকথার সৃষ্টি হয়। ততকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের মেয়াদে সকল ধরণের ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগে করেন বাবর আজম। এরপর শাহীন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নির্বাচন করে বোর্ড।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটিমাত্র সিরিজে অধিনায়কত্ব করেন শাহীন। সিরিজটি পাকিস্তান ৪-১ ব্যাবধানে পরাজিত হয়। এরপরই শাহীনকে সরিয়ে বাবরকে পুনরায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেন নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। আর তার অধিনায়কত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে পাকিস্তান।