শ্রীলঙ্কায় আইওয়া কাপের আসর বসেছে সেবার। ভারত, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া কে নিয়ে, সালটা ১৯৯৯। পঞ্চম ম্যাচের এক পর্বে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের বলে হুক করলেন ততদিনে খুব ভালো থেকে দারুণ ব্যাটসম্যানে পরিণত হওয়া রিকি পন্টিং, আর ডিপ স্কোয়ার লেগে বলটা বাজপাখির মত ছোঁ মেরে ধরে নিলেন এক পরিবর্তিত ভারতীয় ফিল্ডার।
সেই ম্যাচেই শেন ওয়ার্নের ও একটা অসাধারণ ক্যাচ লং অফে নিয়েছিলেন তিনি। নাহ গোটা সিরিজটাই পরিবর্তিত ফিল্ডার হিসাবে কাটানো সেই বঙ্গসন্তান অলরাউন্ডার একটা ম্যাচেও সেবার প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। সেই বঙ্গসন্তান আর কেউ নন হাওড়ার ঘুসুড়ির ছেলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
সেই টুর্নামেন্টের মাস ছয়েক আগে যদিও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে বছর সতেরোর এই ছেলেটির। নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি, বল হাতেও দেখাতে পারেননি কোনো ঝলক, ৪ ওভারে বল করে রান দিয়েছিলেন ৩২।
সেই ম্যাচে যদিও অসাধারণ ছিলেন আরেক বঙ্গসন্তান সৌরভ গাঙ্গুলি, শতরান করে আর চারটে উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন তিনি। যাই হোক সামনের বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ভারত, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া সেই পেপসি কাপে তরুণদের দেখে নিতে চাইছিলেন নির্বাচকরা। তাই, শেবাগ, লক্ষ্মীরতন, গগন খোড়া, সদাগোপান রমেশরা সেই সিরিজে দলভুক্ত হন।
এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি সুযোগও লক্ষ্মী পান মোহালিতে, যে ম্যাচে আবার শেবাগের একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র পাঁচ রান করে সাকলাইন মুশতাকের শিকার হলেও বল হাতে লক্ষ্মী ছিলেন বেশ কিপ্টে। ১০ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেলেও রান দিয়েছিলেন মাত্র ৩৭। শেষ পর্যন্ত বলার মত তেমন কোনো পারফরম্যান্স না থাকায় সেই সিরিজে বা ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপেও শিকে ছেঁড়েনি তাঁর।
এর আগে লক্ষ্মীর ওপর নির্বাচকদের নজর ছিল বেশ কয়েক মাস ধরেই। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। বেশ ভালো পারফরমেন্স করেন সে বিশ্বকাপে। ততদিনে লক্ষ্মীর অলরাউন্ড দক্ষতায় মুগ্ধ কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের মত বিশ্বকাপজয়ী সাবেকরা।
তার আগেই অবশ্য হয়ে গেছে তাঁর রঞ্জি অভিষেক। তবে ১৯৯৯ সালে হওয়া উইলস ট্রফি লক্ষ্মীকে আনে পাদপ্রদীপের আলোয়। কোয়ার্টার ফাইনালে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ৩০ রানে ৪ উইকেট, সেমিফাইনালে দিল্লির বিরুদ্ধে ঝোড়ো শতরান আবার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ২৬ রানে ৪ উইকেট নির্বাচকদের নজর কাড়তে বাধ্য করে। তারপরই ডাক পান পেপসি কাপের জন্য ভারতীয় দলে, সেখানে যদিও আশানুরুপ পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি, তা তো আগেই বলা হল।
বাংলার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সুযোগ পাওয়ার পরেই ঝলসে ওঠে কখনো লক্ষ্মীর ব্যাট, কখনো বল। ওড়িশা অনূর্ধ্ব-১৯ এর বিরুদ্ধে শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। ব্যাট হাতে ৫৬ রান আর বল হাতে ৩৫ রানে ৫ উইকেটের পর আর কখনো ফিরে তাকাতে হয়নি। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি অভিষেক ও হয়ে গেল মাত্র ১৭ বছর বয়স হওয়ার আগেই, ব্যাট হাতে ২৬ রান আর বল হাতে ২ উইকেট আশার আলো দেখিয়েছিলো।
রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর দারুন পারফরমেন্স দুলীপ ট্রফিতেও সুযোগ করে দিলো। তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে নির্বাচকরা ভারত সফররত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘এ’ দলে খেলার সুযোগ করে দিলেন। সে যাত্রায় আশাহত করেননি তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৮৯ রানে ২উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চোখ টানলেন লক্ষ্মী। তাঁর শিকার গুলির মধ্যে ছিলেন ওয়াজাতুল্লাহ ওয়াস্তি, ইউসুফ ইউহানা, ইনজামাম উল হকের মত তারকারাও।
লক্ষ্মীর এই অনবদ্য পারফরমেন্স তাঁকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশেও জায়গা করে দিলো। সেখানেও যথারীতি ঝলসালেন আবার। প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে ৩ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন তিনি। এবার তাঁর শিকারের মধ্যে ছিল আফ্রিদি, আজহার মাহমুদ এবং আবারো ইনজি, ইউসুফরা।
লক্ষ্মীতে তখন মুগ্ধ ক্রিকেট মহল, বলাবলি শুরু হয়ে গেল জুনিয়র কপিল দেব চলে এসেছে। কারণ লক্ষ্মী সেইসময় ছিলেন মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ের সাথে লোয়ার অর্ডারে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং, তার সাথে তাঁর অসাধারণ ফিল্ডিংটা বাড়তি মাত্রা যোগ করতো।লক্ষ্মীর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা আগেই দেওয়া হয়েছে – সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ। এসবের ফলশ্রুতি লক্ষ্মীকে প্রথম ও শেষবারের মত টেস্ট দলে সুযোগ করে দিলো।
কলম্বোতে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ সেবার। বাংলা থেকে দুজন রয়েছেন জাতীয় দলে, বহুদিন পরে। বাংলার ক্রিকেট মহলে তখন উচ্চাশার পারদ তুঙ্গে। সৌরভ যদিও ততদিনে টেস্ট দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন, আরেক বঙ্গসন্তান লক্ষ্মীরতন সে ম্যাচে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায়।
ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমেন্স টেস্ট ক্রিকেটেও লক্ষ্মী তুলে ধরতে পারবেন কিনা এই নিয়ে আলোচনা যখন চলছে, কলম্বোর স্কোরবোর্ডে ভেসে এলো অভিষেককারী লক্ষ্মীর নাম। ঠিক তার কিছুক্ষণ পর যখন ভারতীয় দল মাঠে নামছে দেখা গেল লক্ষ্মীরতন শুক্লা দলে নেই, তাঁর বদলে অভিষেক হলো দিল্লির আশিস নেহরার।
কিন্তু, ঠিক কী কারণে সেদিন প্রথম একাদশ থেকে লক্ষ্মীর বদলে নেহরা ঢুকলেন সে রহস্যই রয়ে গেল। তারপর আর কোনোদিন টেস্ট দলের ড্রেসিংরুমে লক্ষ্মীর প্রবেশ হয়নি। আর কোনোদিন ডাক পাননি তিনি টেস্ট ক্রিকেটে।
একদিনের ক্রিকেটেও ওই পেপসি কাপের পর মাত্র একটিই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন লক্ষ্মী। সিঙ্গাপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে বল হাতে ৫ ওভারে ২৫ রান দিয়ে জিমি এডামসের উইকেট আর ব্যাট হাতে ১০ বলে ১৩ রান করে মার্ভিন ডিলনের বলে বোল্ড হতেই শেষ হয়ে গেল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন মাত্র ১৮ বছর বয়সেই।
এরপর ২০০০ সালে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ট্রেনিংয়ের জন্য ডাক পেলেও চোটের জন্য সে সুযোগ সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি। পরের কয়েকবছর চোট আঘাতের ফলে যে ধারাবাহিকতা নিয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন তা ধরে রাখতে পারেননি।
প্রথম পাঁচ বছর পরে ‘বোলার লক্ষ্মী’ কেও সেভাবে পাওয়া যায়নি, বারবার চোটের কবলে পড়তে পড়তে বোলিংয়ের থেকে ব্যাটিংয়ে মন দেন বেশি..কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর পারফরমেন্স এ ঘাটতি কোনোদিনই খুব বেশি পড়েনি। এটা সত্যি যে অনেক অল্প বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অঙ্গনে তাঁকে ফেলা হয়েছিল, তিনি সেই চাপ তখন নিতে পারেননি। পরে চোট আঘাত তাঁর নিত্য সঙ্গী হয়।
তবে, ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে অনেক ধারাবাহিক লক্ষ্মীকে আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যায়। বাংলার হয়ে তো বটেই, দুলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়েও তাঁর পারফরমেন্স ছিল যথেষ্ট ভালো। ২০১০ সালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ, ১২৬ রানের মধ্যে বাংলার ৫ উইকেট চলে গেছে। এ অবস্থায় শুরু হলো সেই লড়াই ঋদ্ধিমান সাহা কে সঙ্গে নিয়ে, দুজনে মিলে করলেন ৪১৭ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ। লক্ষ্মী শেষ পর্যন্ত থামলেন ২৫০ করে।
এরকম ভাবেই বাংলার ত্রাতার ভূমিকায় বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। নামই ছিল তাঁর ‘ক্রাইসিস ম্যান’। বিপক্ষের উইকেট পড়ছে না, লম্বা জুটি তৈরী হয়েছে, সেখানেও বল হাতে লক্ষ্মীর হুঙ্কার। ১৩৭ টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৬ গড়ে, নয়টা সেঞ্চুরি সমেত ৬২১৭ রান আর বল হাতে ১৭২ টা উইকেট নেওয়ার মালিক টেস্ট ক্রিকেটে আর সত্যিই ডাক পেলেন না।
অথচ তিনি যখন দুর্দান্ত ফর্মে সেই সময়ে ভারত সব ধরণের ক্রিকেটের জন্যই হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও ১৪১ ম্যাচে চার শতরান সমেত তিন হাজারের মত রান আর বল হাতে ১৪৩ টা উইকেট থাকা মানুষ সেই ’৯৯ এর সিঙ্গাপুর কোকা কোলা কাপের পর আর ভারতীয় একদিনের দলে জায়গাই পেলেন না।
অথচ একদিনের ক্রিকেটে তাঁর খেলা ভীষণ ভাবেই মানানসই ছিল। ১০০ এর মত স্ট্রাইক রেটে সারাক্ষণ ব্যাট করা, বল হাতে উইকেটে নেওয়ার পাশাপাশি তুখোড় ফিল্ডার লক্ষ্মীর প্রকৃত মূল্যায়নই হলো না একদিনের ক্রিকেটে।
২০১১-১২ মৌসুমের বিজয় হাজারে ট্রফির খেলা চলছে, ইডেনে বাংলার মুখোমুখি ঝাড়খন্ড। ঝাড়খণ্ডের ২৮০ এর মত রান সেদিন বাংলা পরে ব্যাট করে তাড়া করে জিতেছিল মাত্র ৩৮ ওভারে, সৌজন্যে লক্ষ্মীর ৯৬ বলে ১৫১* রান। হ্যাঁ, প্রায় ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে সেদিন ফালাফালা করেছিলেন রাহুল শুক্লা, শাহবাজ নাদিমদের বোলিং আক্রমণকে।
পরের ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে এবার ঝলসে উঠলেন বল হাতে, মাত্র ১৯৮ রানের পুঁজি নিয়ে তাঁর চার উইকেট ত্রিপুরাকে থামিয়েছিলো ১৬৮ রানে। কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও বল হাতে দারুন ছিলেন আবারো। সেমিফাইনালে পাঞ্জাবের আসল উইকেট মনদীপ সিংকে তুললেন, কিন্তু নিজের সেরা পারফরমেন্সটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালে অজিত আগারকারের মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে।
প্রথমে তাঁর বল হাতে ৩৮ রানে ৪ উইকেট মুম্বাইয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন আপকে থামিয়ে দেয় ২৪৮ রানের মধ্যে। এরপর ব্যাট হাতে শুরু হয় লক্ষ্মীর তাণ্ডব। ৯০ বলে অসাধারণ ১০৬* এর ইনিংসে ভর করে প্রথম বারের মত বিজয় হাজারে ট্রফি ঘরে তোলে বাংলা। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে সেবার অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন লক্ষ্মী।
ব্যাট হাতে ৩০০’র কাছাকাছি রান আর বল হাতে ১১ উইকেট নেওয়ার পরও দরজা খোলেনি জাতীয় দলের। হ্যাঁ, তাঁর বিপক্ষে সেই সময় যুক্তি ছিল তাঁর বয়স। কিন্তু তাঁরই প্রায় সমগোত্রীয় অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি যখন ৩১ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বেশ কিছুদিন খেলতে পারেন, এমনকি বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পান, তখন ২৯ বছর বয়সে ২০১১ সালে লক্ষ্মীর জাতীয় দলে খেলার প্রসঙ্গ এলে দেখানো হয় বয়সের যুক্তি।
যে সময় তিনি জীবনের সেরা ফর্মে, ভারতের একদিনের দলে অন্তত বছর চারেকের জন্য নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার তিনি হতেই পারতেন। কিন্তু পারেননি। যুগ যুগ ধরে চলা বাংলার ক্রিকেটের ওপর বঞ্চনার আরো এক উদাহরণ হয়েই থেকে গেলেন তিনি, আর তাঁর থেকে কম প্রতিভাধর হয়েও স্টুয়ার্ট বিনি, বেণু গোপাল রাও, অভিমন্যু মিঠুন, মানপ্রীত গনিদের মত খেলোয়াড়েরা ভারতের জার্সি পেয়ে যান, ভাগ্যের কী পরিহাস!
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও তিনি পারতেন ফুল ফোটাতে, টি-টোয়েন্টির সাথে তাঁর খেলা দারুণ রকম যায়। সাদা বলের দু’ধরণের ক্রিকেটেই তিনি যথেষ্ট মারকুটে ব্যাট ছিলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও সৈয়দ মুস্তাক আলী টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৮১ ম্যাচে ১২১ স্ট্রাইক রেটে তাঁর প্রায় ১০০০ রান ও ৪৭টা উইকেট তাঁর টি-টোয়েন্টি দক্ষতার পুরোটা বর্ণনা দেয় না।
বেশিরভাগ সময়েই ৬ বা ৭ নম্বরে তাঁকে ব্যাট করতে হয়েছে দলের স্বার্থে। ভারতীয় দলে তাঁর মত হার্ডহিটার একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সত্যিই খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে হয়তো তাঁর হয়ে প্রশ্ন করার কেউ ছিল না।
তাই এত সবের পরেও বাংলার ঘরে ‘লক্ষ্মীলাভ’ হলেও ভারতীয় দল ‘লক্ষ্মীলাভ’ থেকে বঞ্চিতই থেকে গেল বলা যায়।নাকি বছর বছর ধরে বাংলার ক্রিকেটের ওপর উপেক্ষা আর বঞ্চনার আরেক শরিক হয়েই কাটাতে হলো বাংলার ‘লক্ষ্মী ছেলে’ কে? এর জবাব দেবে কে!