দুশ্চিন্তার হার বাংলাদেশের

সবার ব্যর্থতার ভিতর ব্যাতিক্রম ছিলেন শুধুমাত্র নুরুল হাসান সোহান, সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ। চাপের মুখে ২৪ বলে ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন সোহান। আর গত ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সৌম্য এই ম্যাচে রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে করেন ৩০ বলে ৩৭ রান। আর তাসকিন ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আসন্ন টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর আজ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও আয়ারল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আইরিশদের কাছে ৩৩ রানে হেরেছে মুশফিক সৌম্যরা। আজ ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ।

সবার ব্যর্থতার ভিতর ব্যাতিক্রম ছিলেন শুধুমাত্র নুরুল হাসান সোহান, সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ। চাপের মুখে ২৪ বলে ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন সোহান। আর গত ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সৌম্য এই ম্যাচে রান আউটের ফাঁদে পড়ার আগে করেন ৩০ বলে ৩৭ রান। আর তাসকিন ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট।

বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও কোন ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না দলের সেরা দুই ভরসা সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব এখনো দলের সাথেই যোগ দেননি। আর দলের সাথে থাকলেও ঝুঁকি মুক্ত থাকতে খেলছেন না মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ম্যাচ না খেললেও আজ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

দলের সেরা দুই ক্রিকেটার না থাকলেও এই দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যেমন পারফরম্যন্স করেছে এটা প্রত্যাশা করেনি কেউই। আজ ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। দলীয় ৫ রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস।

প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ৪ বলে ৩ রান করে নাঈম ফিরে যাওয়ার পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান লিটন। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩ বলে ১ রান। এরপর ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা মুশফিকুর রহিম ফিরে যান ৪ বলে ৪ রান করে।

১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে আফিফ হোসেন ধ্রুব ভালো শুরু করলেও উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৬ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান তিনি। ৫২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সৌম্যর ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩০ বলে ৩৭ রান করা সৌম্য রান আউটের ফাঁদে পড়লে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি শামিম হোসেন পাটোয়ারি। ৭ বলে ১ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর সোহান ২৪ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যাওয়ার পর শেষের দিকে তাসকিন আহমেদের ১১ বলে ১৪ রানে ভর করে ইনিংসের শেষ বলে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৪৪ রান। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ভিতর মার্ক অ্যাডায়ার তিনটি ও দুটি করে উইকেট শিকার করেন জসুয়া লিটল, ক্রেইগ ইয়াঙ।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে মোটামুটি ভালো শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং ও আন্ড্রু বিলবার্নি। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার সংগ্রহ করেন চার ওভারে ৩৩ রান। নাসুম আহমেদেে বল লাইন মিস করে ১৬ বলে ২২ রান করা স্টার্লিং আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরেও গ্রেথ ডিলানি ও বিলবার্নির ব্যাটে ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। তখনই আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে জোড়া আঘাত করে বসেন তাসকিন আহমেদ। প্রথমে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া বিলবার্নির স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার পর মেহেদী হাসানের ক্যাচ বানিয়ে জর্জ ডকরেলকেও ফিরিয়ে দেন এই পেসার।

২২ বলে ২৫ রান আসে বিলবার্নির ব্যাট থেকে এবং ডকরেল করেন ৯ বলে ৯ রান। এরপর ৭৮ রানে ৩ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডের হাল ধরেন ডিলানি ও গ্যারি টেক্টর। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জন যোগ করেন ৯৯ রান। এই দু’জনের জুটিতেই আর কোন উইকেট না হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড।\

৫০ বলে ৮৮ রান করে অপারাজিত থাকেন ডিলানি ও টেক্টরের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৩ রান। বাংলাদেশের বোলারদের ভিতর দুটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। বাকি একটি উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

আয়ারল্যান্ড: ১৭৭/৩ (ওভার: ২০; স্টার্লিং- ২২, বিলবার্নি- ২৫, ডকরেল- ২২, ডিলানি- ৮৮*, টেক্টর- ২৩*) (তাসকিন- ৪-০-২৬-২, নাসুম- ৩-০-৩৩-১)

বাংলাদেশ: ১৪৪/১০ (ওভার: ২০; নাঈম- ৩, লিটন- ১, সৌম্য- ৩৭, মুশফিক- ৪, আফিফ- ১৭, সোহান- ৩৮, শামিম- ১, মেহেদী- ৯, তাসকিন- ১৪*) (লিটল- ৪-০-২২-২, ইয়াঙ- ৩-০-২১-২, অ্যাডায়ার- ৪-০-৩৩-৩)

ফলাফল: আয়ারল্যান্ড ৩৩ রানে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...