ফুটবলে শক্তিশালী আফগানিস্তানকে রুখল বাংলাদেশ

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বহুগুণ এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন লাহোরে লড়াই করছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে, বাংলাদেশ ফুটবল দলও তখন ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল আফগানদের। দুই দেশের দুই স্টেডিয়ামে ভিন্ন দুই খেলায় মেতে থাকলে জামাল কিংবা সাকিব দুজনের লক্ষ্য ছিল – জামাল ভূঁইয়া অবশ্য নিজের কাজটা করে রেখেছেন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে রুখে দিয়েছেন।

বসুন্ধরা কিংসের কিংস এরেনায় প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বহুগুণ এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

সাফের মতই এদিনও ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের ক্যাবেয়েরা। গোলপোস্টে যথারীতি ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো, তাঁর সামনে দুই সেন্টারব্যাক তারিক, তপু আর ফুলব্যাক বিশ্বনাথ এবং ঈসা ফয়সাল। ডিফেন্স লাইনে বাড়তি প্রতিরক্ষা দিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকায় রাখা হয়েছিল মোহাম্মদ হৃদয়কে।

এছাড়া মিডফিল্ডে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে ছিলেন দুই সোহেল রানা। আর সবার উপরে স্ট্রাইকিং ডুয়ো গঠন করেছেন ইনফর্ম রাকিব এবং মোরসালিন।

ধারে ভারে স্বাগতিকরা এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলাটা অবশ্য সমানে সমান হয়েছে। একদিকে আফগানিস্তান বেশ গুছিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে, অন্যদিকে টাইগাররা খুজেছে কাউন্টার এটাকের সুযোগ। নিচ থেকে লম্বা বলে অথবা ডিফেন্স চেরা পাসে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগও পেয়েছিল জামালরা তবে বরাবরের মতই ফিনিশিংয়ের অভাব ছিল।

বিশেষ করে হাফটাইমের কিছু আগে গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নিতে দেরি করেন রাকিব হোসেন, এরপর স্লাইডিং ট্যাকেলে তাঁর শট আটকে দেন আফগানি ডিফেন্ডার। সফরকারীরাও গোল করতে পারতো একাধিকবার, তবে তারিক, তপু, জিকোদের প্রতিরোধ লাইনে ফাটল ধরাতে পারেনি কেউই।

নির্ধারিত নব্বই মিনিট এভাবেই কেটেছে; কখনো আক্রমণে ভীতি ছড়িয়েছে আফগানিস্তান, কখনো আবার আশা দেখিয়েছেন রাকিবরা। শেষমেশ অবশ্য গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয়েছে এই ম্যাচ। তবে বাংলাদেশের খেলায় উন্নতির ছাপ ছিল স্পষ্ট; পাসিং ফুটবল খেলার লক্ষ্য ছিল ফুটবলারদের মাঝে, বল পায়ে রাখার আত্মবিশ্বাসও দেখা গিয়েছে আজ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...