সাজিদের বিষে ইনিংস হার

আরেকটি ম্যাচ! আরেকটি হতাশাজনক হার। দুদিন বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হলেও বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেলো পাকিস্তান। বাংলাদেশি ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ঢাকা টেস্টেও হার দেখলো ক্রিকেট ভক্তরা। সেই হারটাও আসলো ইনিংস ব্যবধানে।

আরেকটি ম্যাচ! আরেকটি হতাশাজনক হার। দুদিন বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হলেও বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেলো পাকিস্তান। বাংলাদেশি ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ঢাকা টেস্টেও হার দেখলো ক্রিকেট ভক্তরা। সেই হারটাও আসলো ইনিংস ব্যবধানে।

দিনের শুরুতেই সাজিদের ঘূর্ণীতে বিদায় তাইজুলের। সাকিব একা যেন নিরুপায়। শাহীন আফ্রিদির ইয়োর্কারে বিধ্বস্থ খালেদ আহমেদও। ৭৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের সামনে তখন বাংলাদেশ। সাকিবের ব্যাটে ১০ রান আসলেও ব্যক্তিগত ৩৩ রানে সাজিদের কাছে ধরাশায়ী হন সাকিব। সাজিদ খানের ঘূর্নিতে ৮৭ রানেই গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৪ রানের জন্য ফলোঅন এড়াতে পারেনি সাকিব-তাইজুলরা। পাকিস্তানের পক্ষে সাজিদ খান একাই শিকার করেন ৮ উইকেট।

২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদি ও হাসান আলির তোপে আবারো মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ১২ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর দলীয় ১৯ রানে আউট নাজমুল শান্ত! মুমিনুলও ফিরেন দ্রুতই। মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে পাকিস্তানের দরকার মাত্র ৬ উইকেট। দিনের তখনো বাকি প্রায় ৭৫ ওভার। বাংলাদেশের জন্য ম্যাচে হারটা যেনো সময়ের ব্যাপার।

এরপর মুশফিক-লিটনের ৭৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯৮ রানে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে সাজিদ খানের লো বল মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন। ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪৯ রান। চা-বিরতির আগ মূহুর্তে রান আউটে মুশফিক কাটা পড়লে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। দিনের তখনো প্রায় ৩৯ ওভারের খেলা বাকি।

মুশফিক ফিরেন ৪৮ রানে। তবে একপ্রান্তে দারুন খেলতে থাকেন সাকিব। আরেকপ্রান্তে জুটি বাধেন মেহেদি মিরাজ। দু’জনের ৫১ রানের জুটিতে ড্র‍য়ের দিকে এগোতে থাকে ঢাকা টেস্ট! একপ্রান্তে অসাধারণ ব্যাট করে সাকিব তুলে নেন ফিফটি। দিনের মাত্র ১৫ ওভার বাকি থাকতে পার্ট টাইমার হিসেবে বল করতে আসা বাবর আজমের বলে কান্ডজ্ঞানহীন শটে উইকেট দিয়ে আসেন মিরাজ। পরের ওভারেই সাজিদ খানের বলে বোল্ড সাকিবও।

মুহূর্তেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। খালেদ আহমেদও ফিরেন দ্রুতই। ম্যাচে বাংলাদেশের হার তখন সময়ের ব্যাপার। দিনের মাত্র ৩৩ বল বাকি থাকতে সাজিদ খানের বলে তাইজুল লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে অল আউট হয় বাংলাদেশ। আর এতেই ২-০ তে সিরিজ জিতে নেয় পাকিস্তান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস: পাকিস্তান

পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস) – ৩০০/৪ (ডিক্লে) (৯৮.৩ ওভার); বাবর ৭৬ (১২৬), আজহার ৫৬ (১৪৪), রিজওয়ান ৫৩* (৯৪), ফাওয়াদ ৫০ (৯৬); তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২।

বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) – ৮৭/১০ (৩২ ওভার); সাকিব ৩৩ (৫৪), শান্ত ৩০ (৫০); সাজিদ ১৫-৪-৪২-৮, শাহীন ৪-৩-৩-১।

ও (২য় ইনিংস) – ২০৫/১০ (৮৪.৪ ওভার); সাকিব ৬৩(১৩০), মুশফিক ৪৮(১৩৬), লিটন ৪৫(৮১); সাজিদ ৩২.৪-৭-৮৬-৪, শাহীন ১৫-৫-৩১-২, হাসান ১১-৩-৩৭-২।

ফলাফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ৮ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: সাজিদ খান (পাকিস্তান)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...