ফিফা র্যাংকিংয়ে কাতারের অবস্থান ৫৯ অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪ তে অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে ১২৫ ধাপ এগিয়ে থাকা কাতারের বিপক্ষে শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেকেন্ডে লেগের ম্যাচে দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আর যত সময় এগোতে থাকে, দু’দলের মধ্যে পার্থক্যটা পরিস্কার হতে থাকে।
শুরু থেকেই কাতারের একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণ কেপে উঠে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ধারে ভারে সব দিক দিয়েই ঢের এগিয়ে। ৪-৩-৩ ফরমেশনে শুরু করলেও ম্যাচ শুরুর কিছু সময় পরেই সব ফরমেশন এলোমেলো করে দেয় কাতারের আক্রমণ ভাগ। ডিফেন্সিভ ফুটবলই ছিল বাংলাদেশের গেম প্ল্যানের বড় অংশ। জমাট রক্ষণ আর সুযোগ বুঝে কাউন্টার অ্যাট্যাক।
একমাত্র মাহবুবুর রহম সুফিল ছাড়া বাকি ১০ ফুটবলারই নিজেদের অর্ধে থাকার পরও প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বাংলাদেশ। এর মিনিট তিনেক পরেই আবারো গোলের সম্ভবনা তৈরি করে কাতার।গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বা দিকে ঝাপিয়ে পরে দলকে বিপদমুক্ত করে। আকরাম আফিফ,আবদেল করিম, আর হাইদুস কাতারের এই ফরোয়ার্ড লাইন সবসময় চাপে রাখেছে তপু, বিশ্বনাথদের।
আফিফের শট ৩১ মিনিটে আবারো জিকো ঠেকিয়ে দেন জিকো বলে রাখা ভাল এটাই লাল সবুজের জার্সি গায়ে জিকোর দ্বিতীয় ম্যাচ। শুরু থেকেই পুরো মাঠে কাতারের দখলের। বল দখলে কাতার কখনো ৭০ শতাংশ কখনো ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখছে।
৩২ মিনিটে আবারো ডি বক্সের মাথা থেকে আকরাম আফিফের দুরপাল্লার শট জালে জরালে ব্যবধান ২-০ তে পিছিয়ে পরে বাংলাদেশ। আহমেদ আলার শট ৩৯ মিনিটে আবারো জিকো নিজের গ্রিপে নেন। ৪৩ মিমিটে আবারো ত্রাতার ভূমিকায় জিকো। আহমেদ আলার শট বিশ্বস্ততার সাথে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। ফার্স্ট হাফে বাংলাদেশের রক্ষণ ভাগও চোখে পুরার মত কোনো ভুল করে নি বলা চলে।
ফার্স্ট হাফে কাতার যেখানে শেষ করেছিলেন সেকেন্ড হাফে শুরু করলেন সেখান থেকেই। সেকেন্ড হাফে কিছুটা ফরমেশন বদলেছে বাংলাদেশ। রিয়াদুল হাসান রাফি আর তপু বর্মণ সেকেন্ড হাফে একবারে দেয়াল হয়ে দাড়ান। ৪৯ মিনিটে হাইদুসের শট সময় মতো বেরিয়ে এসে ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন সেই আনিসুর রহমান জিকো। কখনো লেফট উইং কখনো রাইট উইং দিয়ে আক্রমণ সানাচ্ছেন কাতার। রক্ষণে তপু, বিশ্বনাথ আর রিয়াদুল হাসান তৎপর। জামাল, সাদদেরও রক্ষণে নেমে এসে আক্রমণ ঠেকানোর কাজ সামলাতে হয়েছে। পুরো মধ্যমাঠই কাতারের দখলে।
৫৩ মিনিটে রিয়াদুল হাসানকে কাট করে জিকোকে একা পেয়ে যান আহমেদ আলা। জিকো সময় মত বেরিয়ে এসে ওয়ান টু ওয়ানে নিশ্চিত গোল রুখে দেন। ৬৫ মিমিটে আবারো একবার জিকো শো। ডিফেন্সের ভুলে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি পায় কাতার। আল মুয়াজের শট জাল খুজে নিলে ৩-০ তে এগিয়ে যায় কাতার।
৭৫ মিমিটে আবদেল আজিজের থ্রু থেকে দারুণ প্লেসমেন্টে আরো একবার বল জালে জরান মোয়েজ আলী। এডিশনাল টাইমে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আকরাফ আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।