দেশের জনগণ যখন আজ ঘুমোতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেবে ঠিক তখন মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। রাতের ঘুমটার জলাঞ্জলি দিয়ে অনেকেই হয়ত টিভি পর্দার সামনে বসে যাবে ম্যাচ দেখতে। সামনেই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রিয় দলটার প্রস্তুতি কেমন চলছে তা তো দেখা চাই।
দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ঘরানাতে বেশ শক্তপোক্ত একটি দল। সে তুলনায় তরুণ খেলোয়াড়ে ভরপুর বাংলাদেশ দল খানিকটা পিছিয়েই রয়েছে। কিন্তু খেলার মাঠে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। বাংলাদেশ দলের পক্ষেও তাই লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনা অসম্ভব কিছু নয়। সে আশায় হয়ত টাইগার ভক্তরা ঘুমঘুম চোখে দেখবে দলের খেলা।
পেসস্বর্গ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটারদের দারুণ ভোগায়। তাঁর প্রমাণ তো মিললো টেস্ট সিরিজেই। বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা প্রত্যাশিত পারফরমেন্স করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে সে আক্ষেপ ভুলে হয়ত আজকে দারুণ কিছুই করতে চাইবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ ওপেনিং এ দেখা যাবে মুনিম শাহরিয়ার ও এনামুল হক বিজয়কে।
ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণে প্রতিটি ওভার, প্রতিটি বলই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-র ওভারগুলি কাজে লাগানোটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনারদের কাছ থেকে আজ বেশ মারকুটে পারফর্মেন্সই প্রত্যাশা করবে বাংলাদেশ দল। উইকেট এর চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে বল পেটাতে হবে, বাউন্ডারি পেতে হবে, দ্রুতগতিতে রান করে যেতে হবে। তেমন বার্তাই দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
হাবিবুল বাশার খেলা একাত্তরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মুনিম ও এনামুল দুইজনই বেশ এক্সাইটিং প্লেয়ার। এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট টা আমরা একটু ভিন্নভাবে খেলতে চাচ্ছি। ম্যানেজমেন্টের চাওয়া। আগে আমরা আগে যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো খেলেছি, সেগুলোতে আমরা পাওয়ারপ্লের অত ভাল ব্যবহার করতে পারিনি। আশা করছি এবার যে দু’জন ওপেনার খেলবেন তাঁরা প্রথম ছয় ওভারটা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারবে। এই উদ্দেশ্যেই এই দুইজনকে দলে নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তাঁদের ওপর কোন চাপ দিচ্ছি না। আমরা চাইবো তাঁরা যেন তাঁদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে এবং তাঁরা যেন আমরা যেমনটা চাইছি তেমন করেই প্রথম পাওয়ার প্লেটার ব্যবহার করতে পারে।’
মাঠে খেলতে নামা পুরো দলের জন্য হাবিবুল বাসার উপদেশ দিয়েছেন টিম গেম খেলতে হবে। ব্যাটিং এ সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে, বোলারদেরও নিজেদের সেরাটা নিঙড়ে দিতে হবে । তবেই বাংলাদেশ দলের জয় পাওয়া সম্ভব।