প্রায় আট বছর পর চলতি মাসের শেষের দিকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ। এই সিরিজে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সাথে একটি টেস্ট খেলবে সফরকারীরা। আর করোনাকালীন এই সফরে মাত্র এক দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২৯ তারিখে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে সাকিব তামিমরা। জিম্বাবুয়ে গিয়ে এক দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ৩১ জুলাই অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে এর আগে দেশে অনুশীলনের ব্যবস্থা করার কোন পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিতে প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে আলোচনা করবে বিসিবি। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে যাদের দল সুপার লিগে উঠতে পারবে না তারা চাইলে অনুশীলনের সুযোগ করে দেবে বিসিবি।
আকরাম বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সফরে আমরা মাত্র একদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকব এবং এরপর আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজ শুরু করব। দেশে আমাদের অনুশীলনের কোন পরিকল্পনা নেই। কিন্তু প্রধান কোচের সঙ্গে আলাপ করা প্রয়োজন যে সে কি চাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা লিগে যে টেস্ট ক্রিকেটাররা আছে কোন ভাবে যদি তাদের দল সুপার লিগে না উঠতে পারে তাহলে তারা ফ্রি থাকবে। তারা যদি অনুশীলন করতে আগ্রহী থাকে তাহলে আমরা তাদের জন্য ব্যবস্থা করব।’
এর আগে করোনাকালীন সময়ে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে না থাকা লাগলেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে তামিম মুশফিকদের। এর পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন করে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় সূচী:
এক মাত্র টেস্ট: ৭ – ১১ জুলাই, কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে।
প্রথম ওয়ানডে: ১৬ জুলাই,
দ্বিতীয় ওয়ানডে: ১৮ জুলাই,
তৃতীয় ওয়ানডে: ২০ জুলাই,
প্রথম টি-টোয়েন্টি: ২৩ জুলাই,
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৫ জুলাই,
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৭ জুলাই,
* সব গুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে।