দেশের উত্তাল অবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছিল অনুশীলনে, তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আমন্ত্রণে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানে ওঠে বাংলাদেশ দল। সেখানে তাঁদের জন্য অনুশীলনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করে দেয় পিসিবি, তবে এবার ভিন্ন ধরনের এক অভিযোগ সামনে আসলো। পাকিস্তানে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
বাবর আজমদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপ পরবর্তী মিশন শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। তাই তো নতুন শুরুর প্রত্যাশায় থাকা সমর্থকেরা আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষা করছে এ সিরিজের, যদিও সেই আগ্রহে খানিকটা ছন্দপতন ঘটলো ‘ইন্টারনেটের গতি’ ইস্যুতে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ দল যে হোটেলে অবস্থান করছে সেখানকার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আধুনিক মানের নয়। ফলে একই সাথে বিরক্ত এবং হতাশ নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসানরা। পরিবারের সঙ্গে ভালভাবে যোগ করতে পারছেন বলে অভিযোগও করেছেন তাঁরা।
যদিও পিসিবি আপাতত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন বার্তা পায়নি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট ইস্যুতে কোন অভিযোগ করেনি। এমন কোন তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে পেলে অবশ্যই যথা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
নেটওয়ার্কের গতি বিবেচনায় পাকিস্তান এমনিতেও বিশ্বের পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর একটি। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ আন্দোলনসহ নানান কারণে গত কয়েক সপ্তাহে ইন্টারনেটের গতি আরও হ্রাস পেয়েছে। ওয়্যারলেস এন্ড ইন্টারনেট প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (ডব্লিউআইএসপিএপি) এর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটের গতি ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমে গিয়েছে।
মাঠের বাইরে এমন ইস্যু সৃষ্টি হলেও মাঠের কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন করতে পারছে টিম টাইগার্স। বলতে গেলে, অতিথিদের আপ্যায়নে কমতি রাখেনি পিসিবি। এখন অপেক্ষা কেবল রোমাঞ্চকর একটা দ্বৈরথের।