এলিট আম্পায়ারদের টেক্কা দিচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত!

টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা শরফুদ্দৌলার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে গত বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা এ আম্পায়ার এবারই প্রথম বিদেশের মাটিতে কোনো নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করলেন। আর অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে নেমেই রোমাঞ্চ জাগানিয়া গ্যাবা টেস্টে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এ আম্পায়ার। 

ঐতিহাসিক গ্যাবায় ইতিহাস গড়েছেন শ্যামার জোসেফ। আচ্ছা বলুন তো, অজি-ক্যারিবিয়ান সেই যুদ্ধে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে কোন দুই জন ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন? একজন ভারতের নীতিন মেনন। আর অন্যজন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।

টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা অবশ্য শরফুদ্দৌলার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে গত বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা এ আম্পায়ার এবারই প্রথম বিদেশের মাটিতে কোনো নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করলেন। আর অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে নেমেই রোমাঞ্চ জাগানিয়া গ্যাবা টেস্টে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এ আম্পায়ার।

এমনকি নির্ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছাপিয়ে গেছে আরেক আম্পায়ার নীতিন মেননকেও। যিনি আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার। গ্যাবা টেস্টে সৈকতের দেওয়ার ৫ সিদ্ধান্তের বিপরীতে ১ বারই মাত্র সফল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে নীতিন মেননের ৪ সিদ্ধান্তের বিপরীতে ২ বারই তাঁকে সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। যে দুটি সিদ্ধান্ত আবার নিজের পক্ষে এসেছে, সেটিও হয়েছে আম্পায়ার্স কলের কল্যাণে।

এই চিত্রটাই বলে দেয়, বিশ্বমঞ্চে আম্পায়ারিংয়ে প্রতিনিধিত্ব করা শরফুদ্দৌল্লা সৈকত মোটেই এলিট আম্পায়ারদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। বরং সিংহভাগ নির্ভুল সিদ্ধান্ত প্রদানে মাঝে মধ্যে ছাপিয়ে যাচ্ছেন বড় আম্পায়ারদেরও। সৈকত অবশ্য বিশ্বকাপ থেকেই এই চিত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন। বিশ্বকাপে মোট ৫ টা ম্যাচে মূল আম্পায়ার থাকা সৈকত ১০ বার ডিআরএসের সম্মুখীন হয়েছিলেন। যেখানে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে ৭ বারই অটল থেকেছেন।

এর আগে বাংলাদেশের কেউই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সুযোন পাননি। বাংলাদেশের হয়ে এবার রূদ্ধদ্বারটাই খুলেছেন সৈকত। তবে শুধু টেস্ট ম্যাচ নয়, অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মধ্যকার আসন্ন ওয়ানডে সিরিজেও আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে দেশসেরা এ আম্পায়ারকে। এখন পর্যন্ত আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে ১৩টি টেস্ট, ৮৫টি ওয়ানডে এবং ৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন শরফুদ্দৌলা। প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করার কীর্তিটাও তাঁর।

সব মিলিয়ে বাইশ গজের ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দারুণ প্রতিনিধিত্ব করছেন সৈকত। এমন দারুণ যাত্রার ধারাবাহিকতা থাকলে সহসাই হয়তো তাঁর জন্য খুলে যাবে এলিট প্যানেলের দরজা। শরফুদ্দৌল্লা সৈকত সেই কীর্তিতেও হবেন প্রথম বাংলাদেশি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...