বাজবলের ধার বাড়ানোর বার্তা

তীর্যক সমালোচনাতেও কক্ষচ্যূত হচ্ছে না ইংল্যান্ড। বরং, বাজবলের ধার আরও বাড়ানোর পক্ষেই মন দলটির।

সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে আরও বেশি আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইংলিশদের অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। লর্ডসে ফের বাজবল দিয়েই জিততে চায় ইংলিশরা।

আর সেটা করতে পারলে লর্ডস টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫০ রানে জয় সম্ভব বলে মনে করছেন জ্যাক ক্রাওলি। টাইমস রেডিওকে এক সাক্ষাৎকারে ক্রাওলি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা লর্ডসে জিতবো, ওখানকার উইকেট আমাদের খেলার জন্য মানানসই। আমার মনে হয়ে আমরা জিতবো। জানি না, ১৫০ রানে কিনা?’

গত কয়েক বছরে বহু গুনে বদলে গেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। ‘বাজবল’- তত্ত্বে আগ্রাসী পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষকে হারাতে বেগ পেতে হচ্ছে না তাদের। এবারও অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একই পন্থা অবলম্বনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো তাঁরা। অজিদের বিপক্ষে দারুণ শুরুর পরও এজবাস্টনে শেষ দিনে এসে হারে ইংলিশরা।

প্রশ্ন হতে পারে, কি এই বাজবল? ‘বাজ’ হল ইংল্যান্ড দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনাম। আর তার টেস্ট ক্রিকেট খেলানোর এই নতুন পদ্ধতির নাম বাজবল। এই মতাদর্শ টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত ধারাকে পাল্টে দিতে পারে। বাজবল ক্রিকেট মানেই টানটান উত্তেজনা। আর আক্রমণাত্মক এই ধারায়  ড্র নয়, জয়ের চেষ্টা করাটাই মূল কথা।

লর্ডসেও সেই জয়েই চোখ ইংল্যান্ডের। এজবাস্টনে হেরেও আশাহত নয় দল। ৪০ বছর বয়সী পেসার জেমস অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা আরও ইতিবাচক, আক্রমণাত্মক, উপভোগ্য ক্রিকেট খেলবো। এজবাস্টনের মত প্রতিদিন মানুষ যেন খুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করবো। আমার মনে হয় আমরা গত সপ্তাহে যথেষ্ট ভালো করেছি। এভাবে খেলতে পারলে, আর বাকি সব কিছু নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারলে আমরা পরের চার ম্যাচ জিততে পারি। আমাদের খেলার ধরনে কোন পরিবর্তন হবে না।’

মানে বাজবলেই আস্থা রাখছে ইংলিশরা। জ্যাক ক্রাওলি বলেন, ‘আমরা ফলাফল নিয়ে ভাবি না। জয়-পরাজয় নয়, আমরা ভাবি বিনোদন নিয়ে। অবশ্যই আমরা জয়ের জন্য খেলি। আমরা যে কৌশলে খেলি সেটি ব্র্যান্ডের মান আরও বাড়ায়। জিতলে আকর্ষণ বাড়ে। একটা ম্যাচ ছাড়া এ সপ্তাহে আমরা কিছুই হারাইনি। আমরা সম্মান অর্জন ও অনেক সমর্থনও পেয়েছি। যা খেলার জন্য ভালো।’

এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা পারফরমার জো রুটও বাজবলেরই পক্ষে। তিনি বলেন, ‘এটা (বাজবল) অনেক বেশি রোমাঞ্চকর, আরও বেশি আকর্ষনীয়। আমার মনে হয়, দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে এই বাজবল পদ্ধতি থেকে আমাদের প্রাপ্তি অনেক বেশি। আমাদের ক্রিকেট এখন অনেক বেশি উপভোগ্যে , ফলাফলও অনেক ভালো হচ্ছে। আর, ‘লর্ডসে আমরা দ্বিগুন আক্রমনাত্মক থাকবো।’

এবার তাহলে বাজবলের আরেক অধ্যায়ের জন্য লর্ডসেই চোখ রাখা যাক! বোঝা যাক, কি এই বাজবল – যার জন্য গোটা ইংল্যান্ড মাতোয়ারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link