চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাশেজ’ যুদ্ধ । অস্ট্রেলিয়ার এবারের লড়াই ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ নীতির বিরুদ্ধে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েকদিন। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের এজবাস্টনে ১৬ জুন শুরু প্রথম ম্যাচ।
অ্যাশেজের উইকেট ও বাউন্ডারি কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। গুঞ্জন আছে বাউন্ডারি আগের তুলনায় কিছুটা ছোট করবে ইংল্যান্ড। পাশাপাশি দেখা যেতে পারে ‘মরা’ উইকেট। অর্থাৎ ম্যাচে দ্রুত রান তুলতে যা করা প্রয়োজন তাই করতে পারে স্বাগতিকরা। ‘বাজবল’ তকমায় ভয়ডরহীন ক্রিকেটের কথায় তো বারবার বলে আসছেন বেন স্টোকস।
অ্যাশেজে এমন কিছু করলে তা ইংল্যান্ডের জন্যই বিপদের কারণ হবে বলে মনে কর রিকি পন্টিং। নিজেদের কথা জানান দিয়ে পন্টিং বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া গত দুই বছর নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
ইংল্যান্ড মরা উইকেট তৈরী করে দ্রুত রান তুলতে পারবে। তবে এমন উইকেট নিশ্চয়ই চাইবে না অ্যান্ডারসন, ব্রড, রবিনসনরা। স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেডদের বিপক্ষে লড়তে বোলারদের প্রয়োজন হবে উইকেটের সাহায্য।
অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরের বড় স্বস্তি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে ভারতকে হতাশ করেছে প্রথম দিনেই। সবুজ উইকেটে শুরুর ব্যাটিংটা মন্দ হলেও পরেরটা হয়েছে বাঁধিয়ে রাখার মতই।
ইংল্যান্ড যদি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরী করে তাহলে লাভের ষোল আনা হাসিল করতে পারে অস্ট্রেলিয়াও। ইংল্যান্ডের মত বাজবল নীতিতে চড়াও হবে বোলারদের ওপর। এমন উইকেটে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
অ্যাশেজ নিয়ে কোন ছাড় নেই দুই দলের। জিততেই হবে লক্ষ্যটা এমনি। প্রায় একাংশের ধারণা এবারের অ্যাশেজ লড়াই ছাড়িয়ে যাবে অতীতকে। সিরিজ শুরুর আগে চাপেই থাকছে এবারের স্বাগতিকরা।
মরা উইকেট থেকে সরে এসে ইংল্যান্ড তৈরী করতে পারে বোলিং সহায়ক উইকেট। তবে এমন উইকেটে অজি বোলারদের ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ভারতের বিপক্ষে স্টার্ক, কামিন্সরা ছড়াচ্ছেন মুগ্ধতা। বোলান্ড, গ্রিনের বলও হতে পারে ভয়ের কারণ।
বাউন্ডারি ছোট ও মরা উইকেট নিয়ে চলছে কথা। তবে শেষ পর্যন্ত উইকেট হতে পারে সমানে সমান। যার মানে সমান সুবিধা পাবে ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগ। বাউন্ডারি নিয়ে আগে ভাগে মন্তব্য করা কঠিন। কেননা ইংল্যান্ডের মত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে তো অস্ট্রেলিয়াও ভালোবাসে।
সীমানার বাইরে গিয়ে অবশ্যই ভিন্ন কিছু ভাবছেন বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জুটি। এই দুই জনের সময়ে ১৩ ম্যাচে ১১ টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই জুটির অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যাশেজে। দেখার বিষয়, ইংরেজদের এই নীতির ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে অস্ট্রেলিয়া শিবির।