বিসিবির নবাগত অ্যান্টি করাপশন পরামর্শক, কে এই অ্যালেক্স মার্শাল?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন ভরসার নাম অ্যালেক্স মার্শাল। এক সময় ছিলেন আইসিসির গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের (আকু) প্রধান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন ভরসার নাম অ্যালেক্স মার্শাল। এক সময় ছিলেন আইসিসির গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের (আকু) প্রধান। এবার বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন বিভাগে এক বছরের জন্য যোগ দিলেন পরামর্শক হিসেবে। লক্ষ্য—বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্নীতি দমন ব্যবস্থাকে আরও শক্ত করা।

মার্শাল গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার। তার আগে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের পুলিশদের পেশাগত সংস্থা ‘কলেজ অব পুলিশিং’-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

পেশাগত জীবনের শুরুটা ১৯৮০ সালে, পুলিশ অফিসার হিসেবে। অপরাধ দমন, গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রশাসনিক নেতৃত্ব—সব ক্ষেত্রেই তার রয়েছে চার দশকের অভিজ্ঞতা। ২০০৮ সালে হন হ্যাম্পশায়ারের চিফ কনস্টেবল।

২০১২ সালে নতুন ‘কলেজ অব পুলিশিং’ চালুর সময় তাকে বসানো হয় সংস্থার শীর্ষ আসনে। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও তিনি ভারী। অপরাধবিজ্ঞানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি আছে তাঁর। পড়াশোনা করেছেন মর্যাদাপূর্ণ রয়্যাল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিজেও।

এক বছরের জন্য বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন বিভাগে পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হলেন। বিসিবির লক্ষ্য স্পষ্ট—বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্নীতি দমন ইউনিটকে আরও আধুনিক, কার্যকর ও আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা। আইসিসিতে কাজ করার সময় ক্রিকেটের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, আন্তর্জাতিক সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে দুর্নীতি দমন কার্যক্রম তদারক করেছেন মার্শাল।

এখন বিসিবি চায়, তার অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ দেশের ক্রিকেটে দুর্নীতি রোধে নতুন মানদণ্ড গড়ে তুলতে। বর্তমানে বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট ইতোমধ্যে ২০২৪-২৫ মৌসুমের এই দুই টুর্নামেন্টের দুর্নীতি অভিযোগ তদন্ত করছে। মার্শালের আগমন সেই তদন্ত ও ভবিষ্যতের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে—এটাই বিসিবির বিশ্বাস।

Share via
Copy link