ঘরের মাঠে আগামী দুই বছরের সব সিরিজের জন্য টিভি স্বত্ব বিক্রির দরপত্র আহ্বান করেছে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত টিভি স্বত্ব বিক্রি করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। টিভি স্বত্ব বিক্রির শেষ সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৭ মে।
বিসিবি আশা করছে, এই স্বত্ত বিক্রি করে ১৫০ কোটি টাকা পেতে পারে তারা। অন্তত তেমনই বলছে, ডেইলি সান পত্রিকার সূত্র।
এই দুই বছরে বাংলাদেশ পুরুষ দল ঘরের মাঠে ৭ টি টেস্ট, ১৮ টি ওয়ানডে এবং ১৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এর আগে ২০১৪ সালে ছয় বছরের জন্য গাজী টেলিভিশনের কাছে টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিবি। করোনা পরবর্তীকালে ক্রিকেট মাঠে ফিরলে সিরিজ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বিসিবি।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেশের মাটিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। সেখানে গাজী টেলিভিশনের সাথে নিলামে অংশ নিয়েছিল টি স্পোর্টস ও ব্যান টেক। নিলাম থেকে মাত্র তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের জন্য ১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় টিভি স্বত্ব কিনে নেয় ব্যান টেক।
দরপত্র আহ্বান করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি সানকে বিসিবির এক কর্মকতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাওয়াতে ১৫০ কোটি টাকার আশা করছেন তারা। ঐ কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন গাজী টেলিভিশনের কাছে থেকে সব বকেয়া বুঝে পেয়েছে বোর্ড।
আর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘এটা সত্য যে গাজী টিভির সাথে আমাদের চুক্তি শেষ হওয়ার পরে আমরা দীর্ঘমেয়াদী সম্প্রচার চুক্তি করতে পারিনি। কিন্তু এটি শুধু করোনার কারণেই নয়, কারণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত এফটিপিও চূড়ান্ত করা যায়নি। এখন চূড়ান্ত হওয়ার কারণে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্প্রচার চুক্তি করবো। আমরা আগামী দুই বছরের সম্প্রচার চুক্তির জন্য ভাল দাম পাবো বলে আশাবাদী।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের সম্প্রচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু এক মে থেকে করা নতুন কোয়ারেন্টাইন নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাই সিরিজটি কয়েক দিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন নির্দিস্ট সময়েই অনুষ্টিত হবে সিরিজ।
তিনি বলেন, ‘সিরিজের সূচি পুনরায় নির্ধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং আমরা ক্রু আনার জন্য সরকারী প্রোটোকল মেনেই কাজ করার চেষ্টা করছি। আমরা অন্য বিকল্প গুলোও দেখছি। আমরা অন্য দেশ থেকেও ক্রু নিয়ে আসতে পারি যেখানে বর্তমানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে।’