ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। দলের প্রয়োজনে নিয়মিত বল করে নিয়েছেন উইকেট, সাথে ব্যাট হাতেও প্রয়োজনের সময় করেছেন রান। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে তাঁর ফোনে কথোপকথনই যেন দলের জন্য একটি বিজয়ী সংমিশ্রণ তৈরি করে দিয়েছিল।
দীর্ঘ ইঞ্জুরি পেরিয়ে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্বে ফিরে এসেছিলেন হার্দিক। তবে বল হাতে নিয়মিত ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। তাই বিশ্বকাপ দলে তাঁর সংযোজন নিয়ে ছিল সন্দেহ। তবে জয় শাহকে বলা একটি কথায় দলে জায়গা হয়ে যায় হার্দিকের। কি সেই কথা? ফোনে জয় শাহকে হার্দিক বলেন, ‘হ্যাঁ জয় ভাই, আমি বল করব।’
তবে বছরের শুরুতেই দলের প্রধান স্তম্ভ রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলের নির্বাচক ও বিসিসিআই এর শীর্ষ কর্মকর্তরা এই সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিকভাবে এটির সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁরা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে। যার দৃষ্টান্ত হিসেবে দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসির কোনো শিরোপার স্বাদ পায় ভারত।
তবে অজিত আগারকার নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ব্যাপারটি ছিল ভিন্ন। রোহিত এবং কোহলিকে ছাড়াই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করেছিল ভারত। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াকে এবং উদ্বোধনী খেলোয়াড় হিসেবে শুভমান গিলকে দেখছিল তাঁরা। তবে রোহিতের কথায় ভরসা করেন আগারকার। আর নিজের শেষ সুযোগটি ভালোভাবেই কাজে লাগান রোহিত।
এই সময় বিরাট কোহলিও তাঁর টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যত সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাই তিনিও নিজেকে শেষবারের মতো পরীক্ষা করে দেখতে চান। আর আইপিএলে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত খেলে বিশ্বকাপ দলের তিন ওপেনারের একটি জায়গা তাঁকে দিতে দ্বিধা করেননি নির্বাচকরা। দলের মূল স্তম্ভ তৈরি করার পর বাকি ছিল বিশ্বকাপের পরিকল্পনা।
এরপর তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে যেখানে বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে সেখানে বাঁহাতি স্পিনার খুবই কার্যকর। যার ফলশ্রুতিতেই দলে অক্ষর প্যাটেল ও জাদেজা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর ভারত বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করে হার না মানা এক দল।