অ্যালান ডোনাল্ড কেন বলির পাঠা!

পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট ও ট্রেনার নিকোলাস লি, ভিডিও অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির সঙ্গে তাদের চুক্তির মেয়াদ আছে এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 

বিশ্বকাপ শেষেই বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে আসতে যাচ্ছে বড়সড়ো এক রদবদল। আর সেই যাত্রায় প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে ও সহকারী কোচ নিক পোথাস ছাড়া বাদ পড়তে পারেন সবাই। 

জানা গেছে, পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট ও ট্রেনার নিকোলাস লি, ভিডিও অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির সঙ্গে তাদের চুক্তির মেয়াদ আছে এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 

বাদ পড়াদের এ তালিকায় সবচেয়ে বিস্ময়কর হিসেবে এসেছে অ্যালান ডোনাল্ডের নাম। ক্রিকেট পাড়ায় এ বোলিং কোচকে নিয়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্যই তাঁর মেয়াদকালে শোনা গিয়েছে। কিন্তু, চান্দিকা হাতুরুসিংহের পছন্দের তালিকায় নাকি ডোনাল্ড! অভিযোগ রয়েছে, পেস বোলারদের উন্নতিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না তিনি। আর সে কারণেই তিনি সম্ভাব্য বিদায়ী কোচদের তালিকায় থাকছেন। 

এ নিয়ে অবশ্য বিসিবি সূত্র থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি শোনা যায়নি৷ তবে দেশের এক দৈনিক সংবাদমাধ্যমের সাথে বিসিবি’র এক আলাপচারিতায় উঠে এসেছে বেশ কিছু কথা। 

সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই পরিচালক বলেন, ‘ডোনাল্ড মেন্টর হিসেবে ভালো, কোচ নন। তিনি বোলারদের হাতে-কলমে কিছুই শেখাতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পেস বোলারদের টিপস দেন’ ম্যাচ চলাকালে মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে তাসকিনদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। পেস বোলারদের আসল উন্নতিটা হয়েছে মূলত অটিস গিবসনের সময়ে। স্কুলশিক্ষকের মতো হাতে ধরে শেখাতেন তিনি। ওটিসকে পেলে হাথুরুসিংহে খুশিই হতেন। সেখানে ডোনাল্ডের কাজে একেবারেই খুশি নন তিনি। স্পিন কোচ হেরাথের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলেও বিসিবি চায় নতুন সেটআপ নিয়ে এগোতে।’

বিসিবি’র আরেকটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর চুক্তি নবায়নের বিষয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন কোচরা। ধর্মশালা পর্বের খেলা শেষে ডোনাল্ডদের জানিয়ে দেওয়া হয়, চুক্তি নবায়নে আগ্রহী না বোর্ড। 

আর এখানেই উদয় ঘটেছে নতুন প্রশ্নের। বিসিবি’র অন্দরমহলেই প্রশ্ন উঠেছে; বোর্ডের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় সম্ভাব্য বিদায়ী কোচদের অনেকেই নিজের কাজটা ঠিকমতো করছেন না। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে যেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। 

আর এ কারণেই ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, কোচদের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে বিসিবি’র আরো কৌশলী হওয়া উচিৎ। যে কোনো বড় টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরেই কোচদের সাথে চুক্তি শেষ করা উচিৎ না। 

তবে এখন পর্যন্ত, বিশ্বকাপের পর কে থাকবেন, কেই-বা চলে যাবেন— এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি বিসিবির কাছ থেকে। অবশ্য তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না বেশদিন। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই জানা যাবে সব কিছু। 

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...