ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে লেগি নেই, তবুও বাংলাদেশের স্বস্তি নেই

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই দুর্বিষহ স্মৃতি সঙ্গে করেই নামছে। তবুও স্বস্তি, ক্যারিবিয়ানদের স্কোয়াডে নেই কোন লেগি। 

এক রশিদ খানের কাছেই যেন হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল গোটা বাংলাদেশ। তার ওই ঘূর্ণি জাদুর মায়াজালে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের দুর্দশা সামনে এসেছে করুণভাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই দুর্বিষহ স্মৃতি সঙ্গে করেই নামছে। তবুও স্বস্তি, ক্যারিবিয়ানদের স্কোয়াডে নেই কোন লেগি।

মিরপুরের সেই চিরায়ত কাল উইকেট অবশ্য আভাস দিচ্ছে। আবারও সেই গতানুগতিক লো-স্লো উইকেটই হতে চলেছে। এমন উইকেটে রশিদ খানের বিশেষ প্রয়োজন নিশ্চয়ই নেই। একজন সাদামাটা স্পিনারও বনে যেতে পারেন ভয়ংকর। সেদিক থেকে ক্যারিবিয়ানরা একেবারে খালি হাতে আসেনি বাংলাদেশে।

তাদের দলে রয়েছেন তিনজন অর্থোডক্স স্পিনার। রস্টন চেজ, গুদাকেশ মতি ও খারি পিয়েরের ছাড়াও একজন সুপ্ত ঘাতক বনে যেতে পারেন আকিম অগাস্তে। তরুণ আকিম মূলত টপ অর্ডার ব্যাটার। তবে ওই যে বাংলাদেশের যমদূত হওয়ার রসদ রয়েছে তার ভেতরে। লেগ স্পিনটা টুকটাক করতে জানেন তিনি।

যদিও খুব বেশি বোলিং তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটেও করেন না। ওই প্রয়োজনের মুহূর্তে একটু বলটা হাতে তুলে নেন। তিন টি-টোয়েন্টি খেলা আকিমের স্বীকৃত উইকেট সংখ্যা মোটে ছয়টি। খুব বেশি কার্যকর হবেন তিনি- সে ভাবনা হতে পারে বাড়াবাড়ি। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার- তখন কোন কিছুই নয় বাড়াবাড়ি।

পার্টটাইম বোলারদের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার পূর্ব ইতিহাস তো আছে ভুরি ভুরি। আর সেই সাথে যদি যুক্ত হয়ে যায়, মিরপুরের উইকেট- তাহলে নিজের ফাঁদে টাইগারদের মুখ থুবড়ে পড়া অবধারিত। নিজের দুর্গতি থেকে কি বাংলাদেশের মুক্তি মিলবে?

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link