সাত ব্যাটার নাকি আট ব্যাটার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ!

দুই সিরিজে আর লড়াই করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমন পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ দল। 

সাদা পোশাকে দিনকাল ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। এরপর দুই সিরিজে আর লড়াই করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমন পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ দল।

টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়াও দলের নিয়মিত সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও নেই চোটের কারণে। এই দুইজনের পরিবর্তে একাদশে দুইজন ব্যাটারকে ঢোকাতে হবে বাংলাদেশকে। তবে বোলিং আক্রমণে পেসারদের সংখ্যা কমানো হতে পারে বোকামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট অনেকটাই পেস বান্ধব।

সুতরাং একাদশে নিদেনপক্ষে তিনজন পেসার থাকা চাই। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথমবারের মত টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন। তার সাথে স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টে আরও একজন প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে অবশ্য হাসান মুরাদের চাইতে এগিয়ে থাকছেন তাইজুল ইসলাম। অভিজ্ঞতার বিচারে তাইজুলকেই প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে বাংলাদেশ পাঁচজন বোলার নিয়ে একাদশ সাজাবে কি-না, সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। গোটা দলের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা। সেজন্য অতিরিক্ত একজন ব্যাটার খেলানোর পক্ষেই থাকে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতে করে আবার বোলিং আক্রমণে বিকল্পের ঘাটতি দেখা দেয়। রীতিমত পা ঢাকতে গিয়ে মুখ বেরিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা।

যদি আট ব্যাটারের পথে আরও একবার পা বাড়ায় বাংলাদেশ, তবে নিশ্চিতরুপেই লড়াই করবার সুযোগও হতে পারে হাতছাড়া। সাত ব্যাটারের একাদশে শান্তর পরিবর্তে একাদশে যুক্ত হতে পারেন দীপু। ওপেনিং পজিশনে জাকির হাসান স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সাদমান ইসলামের। যদিও তারা কেউই ছন্দে নেই। তাদের যেকোন একজনের সঙ্গী মাহমুদুল হাসান জয়।

এছাড়া জাকের আলি অনিক পেতে পারেন সুযোগ। যেহেতু মুশফিকুর রহিম নেই স্কোয়াডে, সেহেতু একজন ব্যাক-আপ উইকেটরক্ষক ব্যাটার প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের। অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করা জাকের এগিয়ে রয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ছাপিয়ে।

তিন পেসারের আক্রমণে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গী হতে পারেন তাসকিন আহমেদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলায়, বিশ্রাম পেতে পারেন নাহিদ রানা। অতএব তিন পেসার, দুই স্পিনার ও সাত ব্যাটারের একাদশই হতে পারে বাংলাদেশের জন্যে আদর্শ। তবে পলায়নপর নীতি অবলম্বনে আট ব্যাটারও খেলাতে পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের (সম্ভাব্য) একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক সৌরভ, শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

Share via
Copy link