ভারতের ডাক আসার আগেই আইপিএলের মধ্যমণি যারা

আইপিএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পিছনে ছিলেন বেশ কিছু আনক্যাপড খেলোয়াড়। অর্থাৎ তাদের কারোরই হয়নি জাতীয় দলে অভিষেক।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে বেশ কিছু চমকপ্রদ ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। রেকর্ডের পর রেকর্ড আর চার ছয়ের বৃষ্টি। তবে এসব নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পিছনে ছিলেন বেশ কিছু আনক্যাপড খেলোয়াড়। অর্থাৎ তাদের কারোরই হয়নি জাতীয় দলে অভিষেক।

আইপিএলের মত জাতীয় দলেও দেখাতে পারফরম্যান্সের ঝলক, এমনি কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আজকের আয়োজন।

  • রিয়ান পরাগ (রাজস্থান রয়্যালস)

রাজস্থান রয়্যালসের জন্য এই মৌসুমে রিয়ান পরাগকে দলে ভেড়ানো ষোল আনাই লাভ। বিরাট কোহলির সাথে অরেঞ্জ ক্যাপ পাওয়ার দৌড়ে পরাগের নামও উঠে আসছে। সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় তিনি ২০ টি ছক্কা নিয়ে হেনরিখ ক্লাসেনের ঠিক পিছনেই আছেন।

  • মায়াঙ্ক যাদব (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)

লখনৌ সুপার জায়ান্টসের গতি দানব মায়াঙ্ক যাদবের কথা না বললেই নয়। প্রতি ম্যাচে একের পর এক আগুনের গোলা ছুড়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের দিকে। তিনি গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে থাকেন। তবে এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৫৬.৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বল করেন তিনি।

  • আশুতোষ শর্মা (পাঞ্জাব কিংস)

১৭ বলে ৩১ (গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে), ১৫ বলে ৩৩ (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে), ১৬ বলে ৩১ (রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে) ইনিংসগুলোই সবার থেকে আলাদা করে আশুতোষ শর্মাকে। তাই পাঞ্জাব কিংসের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি।

  • অভিষেক শর্মা (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ)

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে উদ্বোধনী জুটিতে ট্রাভিস হেডের সাথে ভরসার আরেক নাম অভিষেক শর্মা। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৯৭.১৯, যা টুর্ণামেন্টের সেরা স্ট্রাইক রেটগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মৌসুমে অভিষেক দুই বার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

  • শশাঙ্ক সিং (পাঞ্জাব কিংস)

ছত্রিশগড়ের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার দুর্দান্ত ইনিংস খেলে যাচ্ছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ২৯ বলে করেন ৬১  রান। নিলামে তাঁকে ভুল করে পেয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। তবে শশাঙ্কের ব্যাট বলছে ভুল করে ভুল করেনি এই ফ্রাঞ্চাইজি।

  • ভৈভব অরোরা (কলকাতা নাইট রাইডার্স)

১৪০ কিলোমিটার গতির মাঝেও সুইং করে যাচ্ছেন ভৈভব অরোরা। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেয়ার পর পরই তিনি আলোচনায় আসেন। ভুবনেশ্বর কুমার, প্রবীণ কুমারের মতো বলকে উভয় দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা রাখে হিমাচলের এই পেসার।

  • নিতিশ কুমার রেড্ডি (সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ)

ক্রিকেট বিশ্বে পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেশ বিরল। নিতিশ তাঁর মধ্যে অন্যতম। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাঁর ৩৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্পিন এবং পেস উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর ব্যাট চলে বেশ সাবলীল ভাবেই। বোলিংয়েও ধীর গতির বাউন্সারে আউট করেন জীতেশ শর্মাকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...