সেঞ্চুরি না পেলে পরের টেস্টেই বাদ পড়তেন গিল!

পারফর্ম না করলে এই টেস্টই হতে পারতো গিলের শেষ টেস্ট। এমনকি তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে নাকি হুঁশিয়ারিও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রঞ্জি ট্রফিতে পারফর্ম করলেই তবে মিলবে লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ। সেই যাত্রায় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঞ্জাব-গুজরাট মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও গিলের খেলার ব্যাপারটা একরকম চূড়ান্ত হতে বসেছিল। 

৩৩২ দিন পর সেঞ্চুরি! শুভমান গিলের জন্য এ যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষা। ২০২৩ সালের ৯ মার্চ তাঁর ব্যাটে এসেছিল শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি। আহমেদাবাদে সেই ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৩ টা ইনিংস। সেঞ্চুরি তো দূরে থাক, এ সময়কালে কোনো ইনিংসে ফিফটিও ছুঁতে পারেননি এ ব্যাটার। তবে বিশাখাপত্তনম টেস্টে এসে অবশেষে খেললেন ক্যারিয়ার বাঁচানো এক ইনিংস।

হ্যাঁ। ক্যারিয়ার বাঁচানো সেঞ্চুরিই বটে। কারণ এ টেস্টের আগে যে তাঁকে ইঙ্গিত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পারফর্ম না করলে এই টেস্টই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ টেস্ট। এমনকি তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে নাকি হুঁশিয়ারিও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রঞ্জি ট্রফিতে পারফর্ম করলেই তবে মিলবে লাল বলের ক্রিকেটে সুযোগ। সেই যাত্রায় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঞ্জাব-গুজরাট মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও গিলের খেলার ব্যাপারটা একরকম চূড়ান্ত হতে বসেছিল।

শুভমান গিলের সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে এমনই এক চমকপ্রদ খবর দিয়েছেন ভারতের এক সংবাদমাধ্যম। তাদের সূত্রমতে, গিল তাঁর আত্মীয়স্বজনকেও রঞ্জি খেলার ব্যাপারে অবগত করেছিলেন। তিনি যে ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল। তবে এমন খাদের কিনারায় এসে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা তুলে নিলেন গিল। এর আগের দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ওপেনিংয়ে নেমে। তবে এবারেরটা পেলেন নাম্বার তিনে।

অবশ্য গিলকে যেভাবে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেই সুযোগটা চেতেশ্বর পুজারা পাননি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্পিন গ্রেট অনিল কুম্বলে। তিনি বলেন, ‘গিল যেভাবে সুযোগ পেয়েছে, পুজারাকে ঠিক সেভাবেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ওর ১০০ টার উপরে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথচ ওকে আর এই ফরম্যাটে সুযোগই দেওয়া হলো না। তাঁর জায়গায় গিল যেভাবে সুযোগ পেয়েছে, এই সময়ের মধ্যে চাইলেই পুজারাকে খেলানো যেত।’

তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে ঠিকই ছন্দে ফিরে এসেছেন গিল। তবে তাঁর ফিরে আসার যাত্রাটাও ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর। একে তো ছিলেন বাদ পড়ার শঙ্কায়। তার উপর দ্বিতীয় ইনিংসে জেমস অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন রোহিত শর্মা। এর ঠিক পরের ওভারেই আবার ডাবল সেঞ্চুরিয়ান যশস্বী জয়সওয়ালকে ফেরান সেই অ্যান্ডারসনই।

কিন্তু, সেখান থেকে শ্রেয়াস আইয়ারের ১১২ বলে ৮১ রানের জুটি গড়েন গিল। এরপর অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। ব্যাস। ভারত ওই দুই জুটিতেই পেয়ে যায় বড় রানের লিড। গিল পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত শোয়েব বশিরকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন ফোকসের হাতে। তবে ততক্ষণে তাঁর সেঞ্চুরিতে বড় রানের লিড পেয়ে যায় ভারত।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...