ক’দিন আগেই ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে শততম ইনিংস খেলার আগেই পাঁচ হাজার রানের মালিক হয়েছেন। পাকিস্তানকে তুলেছেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
তবে, এর কিছুই বোধহয় বাবর আজমকে খুব বেশি তৃপ্তি দিতে পারছে না। কারণ এবছরই যে আছে বিশ্বকাপ। বাবর আজমও পাখির চোখ করেছেন বিশ্বকাপকেই। জানালেন, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়াটা হবে দারুণ।
করাচিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছে পাকিস্তান। সামনেই যখন এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ তখন বিশ্বকাপ জেতার বাইরে আর কিছুই ভাববে না পাকিস্তান সেটিই স্বাভাবিক। পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক কিংবা দলকে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠানো, সব মিলিয়ে বাবরের সুসময় চলছে বলাই যায়।
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিসিবি) ডিজিটালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবর আজম এমন মুহূর্তে পুরো ক্যারিয়ারে তাঁর উঠে আসার যাত্রাটাই স্মরণ করলেন। তবে ক্যারিয়ারের বড় লক্ষ্যটির কথা জানালেন সবার আগে, বাবর বলেন, ‘বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক হওয়াটা হবে দারুণ একটা ব্যাপার।’
ক্যারিয়ারের শুরুর কথা স্মরণ করে বাবর বলেন, ‘আমাকে জাতীয় দলে ডাকা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু যখন আমি দলে ডাক পেলাম তখন অনেক উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আমি তখন পরিবারের সাথেই ছিলাম এবং তাদের অনেক খুশি করতে পেরেছিলাম।’
প্রথমবার অধিনায়কত্ব পাবার মুহূর্তটিও ছিল বাবরের জন্য বিশেষ কিছু। ২০১৯ সালে অধিনায়কত্ব পাবার পর থেকেই যেন ব্যাটিংয়ে আরো বেশি ছন্দ পেতে শুরু করেছিলেন বাবর আজম। শুধু ছন্দ পেয়েছেন তাই নয়, অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমের পরিসংখ্যান রীতিমতো অবিশ্বাস্য। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে বাবরের ৭৫ গড় সে কথাই বলে।
শুধু ওয়ানডেই নয়, পাকিস্তান অধিনায়ক তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিই এসেছে অধিনায়ক হিসেবে খেলে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবেও গড়টা ৫০ এর ওপর।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বাবর বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বছরটা দারুণ ছিল। অধিনায়ক হিসেবে তখন অনেক কিছুই ম্যানেজ করতে হতো। কিন্তু আমি কিভাবে সেগুলো ম্যানেজ করতে হয় তা শিখেছি। আমি দল পরিচালনার বিষয়ে সারফরাজ ভাইয়ের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। মাঠ ও মাঠের বাইরের বিষয় গুলো নিয়ে তাকে আমি প্রশ্ন করতাম এবং সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
অধিনায়ক হিসেবে দলে খেলা আর অধিনায়কত্ব করা ছাড়া দলে খেলার মধ্যে পার্থক্য কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আপনার দুটো দায়িত্ব পালন করতে হয়। কারণ অধিনায়কত্ব ছাড়া খেললে তখন শুধু ব্যাটিং আর ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ দিলেই হয়ে যায়। কিন্তু এখন পুরো দলটাকেই আমাকে চালাতে হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি এবং এটা আমার সেরাটা বের করে আনে।’