অপেক্ষার প্রহর শেষে মাঠে গড়িয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। অবশ্য দুই হেভিওয়েটের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, টাইগার পেসারের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে ছয় উইকেটে জয় পেয়েছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাটিং সেই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেছিল। কিন্তু মুস্তাফিজ আক্রমণে আসতেই বদলে যায় সবকিছু, ৩৫ রান করা ডু প্লেসিসকে আউট করেন তিনি। দুই বল পরে রজত পতিদারকেও ফেরান প্যাভিলিয়নে। পরের ওভারে দীপক চাহার তুলে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট।
প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি আর ক্যামেরন গ্রিন। কিছুটা সফলও হয়েছিলেন তাঁরা কিন্তু ফিজের থাবা থেকে বাঁচতে পারেননি। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান এই পেসার।
৭৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন বিধ্বস্ত অবস্থা দলটির। তবে তাঁদের ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি আক্রমণ শুরু করেন তিনি। এই কৌশল দারুণভাবে কাজে লাগে, দু’জনে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। শেষ পাঁচ ওভারে তাঁদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৭৩ রান করতে সক্ষম হয় ব্যাঙ্গালুরু।
মাঝারি মানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে রুতুরাজ রয়ে সয়ে খেলেছিলেন প্রথমে। যদিও অন্যপ্রান্তে রাচিন রবীন্দ্র ঝড় বইয়ে দেন; কিউই তরুণের কল্যাণে পাওয়ার প্লে-তেই ৬২ রান জমা হয় চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে। অবশ্য ৩৭ রান করে রবীন্দ্র আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে দলটি, যদিও সেই চাপ বেশিক্ষণ টেকেনি।
আজিঙ্কা রাহানে, ড্যারেল মিশেলদের ছোট ছোট অবদানে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিয়মিত উইকেট তোলার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীরা অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল। তবে ম্যাচের সমীকরণ ততক্ষণে সহজ হয়ে গিয়েছিল ব্যাটারদের জন্য।
শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান; রবীন্দ্র জাদেজা ও শিভম দুবের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয় ত্বরান্বিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। দু’জনের অপরাজিত পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে আট বল হাতে রেখেই নির্ধারিত লক্ষ্য টপকে যায় দলটি।