এই বিজয়ে জয় অসম্ভব

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে হাজারের উপর রান করে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। যদিও এই রান তিনি করেছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাঁর দল নিয়ে কোন পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে রাজি নন। হঠাত করেই তাঁর ফরম্যাটে কাউকে মাঠে নামিয়ে দেননি তিনি। ফলে ওয়ানডেতে বিজয়ের ফেরা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে বাংলাদেশ বিশ্রাম দিল তাঁদের অফ ফর্মের কারণে। তবে ওপেন সিক্রেট হলো এই ফরম্যাটের সাথে তাঁদের ব্যাটিং মেজাজ মিলছে না বলেই এমন শাস্তি। এছাড়া তামিম ইকবালও এমন সমালোচনার কারণেই এও ফরম্যাট থেকে সরে গিয়েছেন। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দল ঘোষণা হলো তাদেরকে ছাড়াই। কেননা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি মতই খেলতে চায় বাংলাদেশ। তবে এনামুল হক বিজয়রা সেই মুখ রাখলেন কই।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে হাজারের উপর রান করে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। যদিও এই রান তিনি করেছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাঁর দল নিয়ে কোন পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে রাজি নন। হঠাত করেই তাঁর ফরম্যাটে কাউকে মাঠে নামিয়ে দেননি তিনি। ফলে ওয়ানডেতে বিজয়ের ফেরা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাঁকে নামানো হয়েছিল। সেই সিরিজে দুই ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। এতদিন পর দলে ফরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান নাই পেতে পারেন। ফলে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট বিজয়ের কাধ থেকে হাত সরিয়ে নেয়নি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তাঁকে নামানো হয়েছে তিন নাম্বারে।

তবে সেই সুযোগের পুরোপুরি অপচয় করেছেন এনামুল হক বিজয়। আগে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের সামনে ছুড়ে দিয়েছিল ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট। ওপেন করতে নেমে মুনিম শাহরিয়ার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে আরেকপ্রান্তে থাকা লিটন দাস জয়ের লক্ষ্যেই ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন।

কেননা লিটনরা বিশ্বাস করছিলেন এই উইকেটে ২০৬ রানের টার্গেট তাড়া করে জেতা সম্ভব। লিটনের এই বিশ্বাস যে ভুল ছিল না সেটা  পরের ব্যাটসম্যানরাও প্রমাণ করেছেন। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শেষ ওভার পর্যন্ত জেতার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। ম্যাচের পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে যাবার পরেও হাল ছাড়েননি।

তবে এনামুল হক বিজয় যখন ব্যাট হাতে নেমেছিলেন তখন ইনিংসের কেবল শুরু। বিজইয়ের দায়িত্ব ছিল পরের ব্যাটারদের জন্য এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কাজটা সহজ করে যাওয়া। তবে বিজয় করেছেন ঠিক তাঁর উলটো। নিজে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন বটে তবে সেই ইনিংসে দলে উপকারের চেয়ে অপকারই হয়েছে বেশি।

কেননা ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বিজয় ২৬ রান করেছেন ২৭ টি বল খেলে। আউট হবার আগের বলটায় ছয় মেরে যাওয়াতে তাও বল আর রানের দূরত্ব কিছুটা কমেছে। তবুও স্ট্রাইকরেট ১০০ ও ছুঁতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। দুই ছয় দিয়ে সাজানো ইনিংসটি খেলেছেন ৯৬.২৯ স্ট্রাইকরেটে। ফলে তাঁর ইনিংসই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ফসকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

এরপর অবশ্য নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহানরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এতকিছুর পরেও শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছে। তবে সোহান শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। তবে দায়টা যতটানা অধিনায়কের তারচেয়ে অনেক বেশি বোলারদের, আরো বেশি এনামুল হক বিজয়ের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...