দুয়ারে বিশ্বকাপ, ওপেনিংয়ে বাড়ছে চিন্তা কিংবা দুশ্চিন্তা

একটা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিং সামলাবেন কে? কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই হয়ত একটি নাম বলে দেওয়া যায়, সেটা লিটন দাস। কিন্তু তার সঙ্গী নিয়ে একটু ভাবতেই হবে নিশ্চয়ই।

একটা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিং সামলাবেন কে? কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই হয়ত একটি নাম বলে দেওয়া যায়, সেটা লিটন দাস। কিন্তু তার সঙ্গী নিয়ে একটু ভাবতেই হবে নিশ্চয়ই। কেননা চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে যে অনেকেই দাবি জানাচ্ছেন জাতীয় দলে ফেরার।

তাদের মধ্যে অন্যতম এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। সব আলো কেড়ে নেওয়ার মত পারফরমেন্স তারা করছেন, বিষয়টি তেমন নয়। মন্দের ভাল হয়েও খানিকটা দাবিই যেন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তাদের নামটা রয়েছে সেরা দশের ভেতরই।

দেশীয় ওপেনারদের মধ্যে স্রেফ তামিম ইকবাল খান রয়েছেন এদেরও উপরে। কিন্তু তামিম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বহু আগেই। সুতরাং তার পারফরমেন্স খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বিশ্বকাপের দল গোছানোতে। কিন্তু বাকিরা অবশ্য একটা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছেন। নির্বাচকদের ভাবতে বাধ্য করছেন বটে।

দুর্দান্ত ঢাকার অবস্থা একেবারে যাচ্ছে তাই। এমন এক দলে থেকেও নাঈম শেখ নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি অর্ধশতক ছাড়াও, দ্রুতগতির সাথে দুইটি চল্লিশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাতে করে সাত ম্যাচ শেষে তার মোট রান এই মুহূর্তে ১৯২। প্রায় ১২৫ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছেন তিনি এবারের বিপিএলে।

অন্যদিকে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকেও রান আসছে। বেশ দ্রুততার সাথেই তিনি রান করছেন। পাশাপাশি খুলনা টাইগার্স দলকে নেতৃত্ব দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সন্তোষজনক অবস্থানে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। দলের হয়ে ওপেনিং করতে নেমে এনামুল খেলেছেন প্রায় ১২২ স্ট্রাইকরেটে। ৬ ম্যাচে ১৬১ রান করেছেন ৪০ এর বেশি গড়ে।

দুইটি ফিফটি ছাড়াও ছোট ছোট ক্যামিও ইনিংসের দেখা মিলেছে তার কাছ থেকে। অতএব এই দুইজনকে ভাবনার বাইরে রেখে নিশ্চিতরুপেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করবার উপায় নেই। তারা অন্তত সেই উপায়টি দিচ্ছেন না। আবার একটু ভিন্নভাবে বললে, নিয়মিত ওপেনাররাই আসলে সেই সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছে।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং করেছেন সৌম্য সরকার ও রনি তালুকদার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সিরিজটায় অবশ্য ছুটিতে ছিলেন লিটন কুমার দাস। সে কারণে তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এর আগে একটা লম্বা সময় ধরেই লিটনের সঙ্গী ছিলেন রনি। সে জায়গায় পরিবর্তন আসাটা যেন ভীষণ প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।

কেননা এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এখন অবধি বলার মত কিছু করতে পারেননি রনি তালুকদার। এমনকি অন্তত একটি ফিফটির দেখাও পাননি ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে সৌম্য সরকার একেবারেই খারাপ করেছেন সেটা বলার সুযোগ নেই অন্তত বাংলাদেশী ওপেনারদের দৃষ্টিকোণ থেকে। তবে সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়।

৭ ম্যাচে ১২৩ রান করা সৌম্য এখন অবধি ওপেনিং পজিশনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি। ফরচুন বরিশালের হয়ে মিডল অর্ডারেই ব্যাট করতে হচ্ছে তাকে। এসব কারণেই আসলে খানিকটা দুশ্চিন্তা গ্রাস করতেই পারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের। সেটাকে ঘনিভূত করতেই বরং বিজয়-নাঈমরা চাইবেন।

তাতে করে জাতীয় দলে তাদের পুনঃরায় অন্তর্ভূক্তির দাবিটা আরও বেশি জোরালো হবে। অন্তত ওয়ানডে বিশ্বকাপের মত বিকল্প ওপেনার ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেতে চাইবে না বাংলাদেশ। একই ভুল বারবার করা নিঃসন্দেহেই অপরাধের শামিল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...