পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্ম। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পরিচিতি একজন ওমানের ক্রিকেটার হিসেবে। সহযোগী দেশের ক্রিকেটার হয়েও যে বিশ্ব মাতানো যায়, সেই পথেই যেন হাঁটছেন বিলাল খান।
বাঁ-হাতি এ পেসার এবারের বিপিএলে খেলতে এসেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। আর সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বল হাতে দেখালেন চমক। সিলেটের মাটিতে এদিন সিলেটেরই টপ অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে ছিলেন তিনি।
চট্টগ্রামের হয়ে এ দিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোলিং প্রান্তে এসেছিলেন বিলাল খান। এরপর ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মোহাম্মদ মিথুনকে বোল্ড করেন এ পেসার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের টপ অর্ডারে ভাঙনের শুরু সেখান থেকেই। ওই ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
এরপর আরো একটি উইকেট নিয়েছিলেন বিলাল। নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে তিনি ফিরিয়েছেন হ্যারি টেক্টরকে। যে আইরিশ ব্যাটারের ব্যাটেই প্রতিরোধ গড়ার পথে এগিয়েছিল সিলেট। তবে পঞ্চাশের পথে হেঁটেও তাঁকে ফিফটি বঞ্চিত করেন বিলাল।
সিলেটের বিপক্ষে এ দিন শুধু উইকেটই পাননি এ পেসার। প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছেন ইকোনমিক্যাল বোলিং দিয়েও। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান তিনি। আর তাতেই ১৩৭ এর বেশি করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বিলাল খানের বোলিং অবশ্য নজরে এসেছে এর আগেই। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে ওয়ানডেতে সন্দীপ লামিছানের পর তাঁরই সবচেয়ে বোলিং গড়। আর ক্রিকেট ইতিহাস বিবেচনায় এখন পর্যন্ত জোয়েল গার্নার, রশিদ খানরাই তাঁর চেয়ে শুধু বোলিং গড়ে এগিয়ে আছে।
সব মিলিয়ে সহযোগী দেশের ক্রিকেটার হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঠিকই তিনি ছোট দলের বড় তারকা হিসেবে পরিচিত। সেই ধারাবাহিকতায় সেই ছাপটা এবার তিনি রাখলেন বিপিএলের মঞ্চেও।