লেফট উইং ধরে নিজের গতি কাজে লাগিয়ে পেনাল্টি জিতেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, নিজেই আবার গিয়েছিলেন স্পট কিক নিতে। কিন্তু সব আত্মবিশ্বাস বোধহয় বেলুনের মত চুপসে গিয়েছিল, গোলপোস্টের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় দুর্বল একটা শট নেন তিনি।
ফলাফল – মিস! শুধু কি তাই? রিবাউন্ডে ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়ানোর সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে, সেই সুযোগও হেলায় হারালেন। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে জড়ালেই ম্লান হয়ে যান ভিনি, এমন সমালোচনা শোনা অনেক আগ থেকেই।
ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে তাঁর পেনাল্টি মিসে সেই সমালোচনা আরো কয়েক গুণ বাড়বে বৈকি। কেননা এর ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে। এছাড়া ম্যাচের বাকি সময়েও বলার মত কিছু করতে পারেননি তিনি। উল্টো একাধিকবার নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছেন।
অথচ ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বী রাফিনহা যেন উল্টো, দশ নাম্বার জার্সি পেয়ে আরো তীক্ষ্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। ডি বক্সের বাম দিকে প্রায় বিশ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পেয়েই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
পুরো ম্যাচ জুড়েই বার্সা তারকা চেষ্টা করে গিয়েছেন; কখনো উইঙ্গার, কখনো ‘নাম্বার টেন’ ভূমিকায় তিনি হানা দিয়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। যদিও সতীর্থদের ছন্দহীন পারফরম্যান্সে ঢাকা পড়ে গিয়েছে তাঁর সব প্রচেষ্টা। কি জানি, তিনি পেনাল্টিটা নিলে হয়তো ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। অন্তত ফর্ম বিবেচনায় তাঁকেই স্পট কিক মারার দায়িত্ব দেয়া উচিত ছিল।
অবশ্য জয়ের জন্য রাফিনহার একমাত্র গোলটাই যথেষ্ট হতো, কিন্তু বাদ সেধেছেন টেলেসকো সেগেোভিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হিসেবে নামার সঙ্গে সঙ্গে গোল করে বসেন তিনি। সেটাও আবার ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে, এডারসন কিছু বুঝে উঠার আগেই।
টানা দুই ম্যাচ জিতে সেলেসাও সমর্থকেরা একটুখানি স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসেই হোঁচট খেলো তাঁরা। তাঁদের পরের লড়াই আবার উরুগুয়ের সঙ্গে, কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে ড্র নিশ্চিতভাবেই মানসিকভাবে পিছিয়ে দিবে ডোরিভাল জুনিয়রের শিষ্যদের।